পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'রানু কোথায় আছে বের করতে পারলেন না এখনো ? ‘কেউই বলতে পারে না ।” "নরেন হয় তো জানতে পারে—’ “আণপনাকে কে বললে ?’ ‘আমি নিজেই অনেক বণর ভেবেছি । অণপনি নানা দিকে তদবিরে ছিলেন—” তামাক টানতে লাগল কালুবাবু । কোণঠাসা হয়ে পড়েছে হৃদযন্ত্রট । নিশীথের সিগারেট খাওয়া ভাল নয় । সিগারেট খাবার কোনো রুচিও নেই তার | ‘গভীর জলের মাছ । আবার বেন্দাবনের ঘাটের কচ্ছপজিও বটে নরেন, নরেন-রানুর ব্যাপার নিয়েই অনেকদিন থেকে ওকে প্যাচে ফেলবার চেষ্টা করছি । কিছুতেই পারছি না।’ ‘রানু কি বেঁচে আছে ? আছে হয় তো ' ‘কী করে বুঝলেন ? ‘ওকে তো কারু মেরে ফেলবণর কথা নয়—’ ও সেই কথা, নিশীথ হেসে বললে, কিন্তু মানুষ মুখ দিয়ে কথা বলে না আজকাল, চোঙে মুখ রেখে কথা বলে । যারা মেয়েটাকে এ-রকম ভাবে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে, তারা কী না পারে । আমাকে সশস্তুনা দিতে চেষ্টা করে কোনো লাভ নেই। আমি অনেক আগেই বুঝেছি যে শূন্যকে কোটি কোটি দিয়ে গুণ করে সেই অদ্ভুত শূন্যের ভিতর থেকে কোটিকে ফিরে পেতে চাইছি । কিন্তু শূন্য কী করে কোটিকে দেবে ? সে তো শূন্য ।” মনোযোগ দিয়ে নিশীথের কথা শুনে কালুবাবু বললেন, ‘আমি তো এককে কোটি দিয়ে গুণ করছি, কোটিকে ফিরিয়ে দিচ্ছি এক । নরেনের বাবা কুড়িকে কোটি দিয়ে গুণ করছে কুড়ি কোটিকে ফিরিয়ে দিচ্ছে কুড়ি । নরেন তো পঞ্চাশকে কোটি দিয়ে গুণ করছে, পঞ্চাশ কোটিকে ফিরিয়ে দিচ্ছে পঞ্চাশ। শূন্য নয়, এক, দুই, কুড়ি, চল্লিশ, 'আছে' হবে, এগুলোকে স্বীকার করে নিয়ে কাজে নামতে হয় । রানুকে পেতে হলে নরেনকে লোভী হতে দিতে হবে। আমি ওকে পণকালে আটকগব ।’ ‘আমি কলকাতায় যাচ্ছি— ‘ ఏO