পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'ন না—ঠিক আছে, ঠিক আছে’—কালীশঙ্কর ডান হাতের পঁচটি আঙুল উচিয়ে থামিয়ে দিলেন । “আণমরণ সবাই তেণ সেগফা-সেটিতে ইজিচেয়ণরে বসেছি হরিলীলদ’—উকিল ব্রজমাধববাবু বললেন, ‘কালীবাবু কেন ভেনেস্তা বেছে নিলেন’— ‘ভেনেস্তা হবার জন্যে—হে-হে-হে’—হরিলাল তার নাক-ঠোটের কেগণ খণমচি খি*চিয়ে হেসে ফেলে বললেন, ‘মতিলাল ! ওরে হরিণমজগদ। হারামিকা’— শিবনলাল এসে বললে—‘বাবা বাড়ি নেই, ইস্টশনে গেছে দাদাবাবুর মাল খালাস করে দিতে’— ‘হারমিকা—শিগগির একটা সোফা নিয়ে আগয় । শিবনলাল অন্দরের থেকে সোফা অগনিতে গেল । ‘সেগফা-সেটি তো ছিল চারদিকে ; আপনি নিজে কেন উটকো চেয়ারে বসতে গেলেন কালীবাবু ? ‘বডড ছারপোকা কামড়াচ্ছে হরিলালবাবু?—হিমাংশু চক্রবর্তী বললে । ‘সত্যি, ছারপোকা হরিলীলদা—বসা দণয়’—ব্রজ মাধব বললেন । ‘ঐ নতুন ভেনেস্তা চেয়ারটায় ছারপোকা নেই। কালীবাবু ঠিকই বসেছেন —হাণ-হ্যা-হ্যা-হ্যা-হ্যা হগসতে লাগলেন । ‘যা ছারপোকা দাদা, কী হবে সোফায় বসে । বেশ আগছেন আপনি যা হোক কালীবাবু!—ঘোষমল্লির্ক স্টেটের উকিল বঙ্কিম দত্ত বললে । শিবলাল ও পূর্ণ ধরাধরি করে একটা চমৎকার নতুন সোফা হল ঘরে এনে বসাতেই সামনের দরজা দিয়ে ঢুকে গটগট করে হেঁটে সোফাটার উপর ধপাস করে বসে পড়লেন বারের উকিল, কলেজ কমিটির মেম্বার, ওয়াজেদ আগলি সাহেব । কালীশঙ্করবাবু নিজের চেয়ার থেকে উঠে বসতে যাচ্ছিলেন সেগফণয় । হঠাৎ আগলি মিঞাকে চোখে পড়ায় ভেনেস্তায় ফিরে এলেন । সকলে হো হো করে হেসে উঠল ! ‘কেন কী হল—হণসবণর কী হল—জিজ্ঞেস করলেন ওয়াজেদ আগলি । “কিছু হয় নি।’ শিবলালকে একটা ডেক চেয়ার আনতে বললেন হরিলালবাবু, না কি সোফা অাছে অণরো অন্দরে ?” চলে গেল শিবলীল । వఆ