পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘ভগল তো মিঃ ওয়াজেদ আলি ?’ “ভাল, ওয়াজেদ আলি সাহেব ?’ ‘সেলাম ওয়াজেদ আগলি সাহেব, তবিয়ং ভগল তো । আগজ বার লাইব্রেরিতে দেখলুম না তো আপনাকে— ‘অণদণব, মিঃ ওয়াজেদ আগলি । মিঃ ইমাম হোসেন বেড়াতে-বেড়াতে আসবেন কি এদিকে এক বণর ?’ ‘এই যে জনাব ওয়াজেদ আলি সাহেব ; আপনার কথাই ভাবছিলাম । আমি গেছলুম কাল আপনার ওখানে । বাড়িতে পেলুম না ; শুনেছিলুম আপনার নিউরালজিক পেন হয়েছে— ওমাজেদ আগলি অত্যন্ত অণপ্যায়িত বোধ করছিলেন । অণপ্যারিত করে যদিও বাতিব্যস্ত করে ফেলছে তাকে সব, কিন্তু তবুও খারাপ লাগছিল না তার । র্তার চারিদিককার এ সব মানুষদের মৌখিক আন্তরিকতা তো খুব নিখুঁত—এই হলেই হল যেন ওয়াজেদ আলি সাহেবের ; ভিতরের আস্তরিকতা অন্ধকারে ভুট্টার মত পুড়িয়ে খায় ভুট্টার ক্ষেতের পাশে বসে সাদামাট দেহাতি লোকেরা ; উপরের স্তরে এ জিনিসটা খুব কম । উপমাটা প্রকৃতির থেকে নেওয়া—বেহার অঞ্চলের । ওয়াজেদ আলি সাহেব বাঙালি মুসলমান –পদ্মশর ওপরের ; কিন্তু সম্প্রতি কিছুদিন থেকে বেহারের কথা ভাবছিলেন —খুব বেশি । ভুট্টা নয়—জওয়ার জওয়ার—ওয়াজেদ আলি ভাবছিলেন । "জনাব ইমাম হোসেন সাহেব ? না তিনি অণজ এ দিকে আগসবেন বলে মনে হয় না । বার লাইব্রেরিতে আমাকে দেখেন নি ? গেছলুম—খুব তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়েছি । পুলিশ সাহেবের মোটর লঞ্চে একটু ঘুরে বেড়ালুম u খণনাপিনা খেয়ে ফিরতে সন্ধ্যে হয়ে গেল’—বললেন আর-একজনকে, ‘নিউরালজিক পেন ? হ্যা, বডড কষ্ট পেয়েছি চার-পাচদিন—দুটো মাড়ির দণত—মাড়ির দশতে বদ রক্ত জমে টনটনিয়ে উঠেই পেনটা হয়েছিল মনে হয় । কনস্টিপেশনও আগছে । ডাক্তার জোলাপ নিতে বলেছিলেন । কিন্তু আগজ এ-বাড়িতে মগজবগন, কাল ও -বাড়িতে গিন্নি-পগল চালের পোলাও, আণর মুর্গির কালিয়া রেখে বড় বিবিসাহেব যেতে লিখে পাঠিয়েছিল—কী করি, সামাজিক মানুষ হয়ে থাকতে হলে দুর্ভোগ ভুগতেই হয় – "জোলাপ নেওয়া হল না’ ? ՏԳ