পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ן יחה" “গিন্নি-পাগল চাল কণকে বলে আগলি সাহেব ? ‘খুব চমৎকার চাল । ‘বাসমতির মতন ? ‘ন না, খাবেন একদিন হরিলালবাবু ?—জিজ্ঞাসু ব্রজমাধবকে টপকে হরিলালবাবুর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন ওয়াজেদ আলি । স্নিগ্ধতা ও অগত্মমর্যাদায় হরিলাল আগস্তে-আগস্তে বললেন, ‘আগমণর অণর খাওয়া দাওয়া, দণত নেই, কী খাব আমি । মাংস খেতে পারি না, কুচিয়ে কিমা রেধে দেয়, সেটাই খাই রোজ'— ‘রোজ ?”—কে যেন জিজ্ঞেস করল । হরিলাল নিজের কথা বলতে-বলতে অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিলেন । তিনি যে রোজ মাংস খান এ কথা শুনে ও-রকম দণত কেলিয়ে ‘রোজ' বলে উঠল কে ? নিজে কথা বলছিলেন, নিজের কথার দিকেই কান পেতে ছিলেন তিনি। অন্যদিকে মন ছিল না তার । কে মানুষটা বলে উঠল, 'রোজ' ? হরিলালের কানের ভিতর দিয়ে মনে ঢুকে তাকে সচকিত করতে একটু দেরি করেছে বলেই হরিলাল বুঝতে পারছে না, কে বলেছে । চোখ তুলে চারিদিকে তাকিয়ে সহস্থ্যে সমীচীনভাবে খতিয়ে দেখছিলেন, ‘হ্যা রোজ খাই’, হরিলালবাবু দৃঢ়ভাবে বললেন । কেউ কোনো কথা বলতে গেল না । ‘রোজই আমার মাংস না খেলে চলে না ! রোজ ! আমি মাংস খাই, কিমা মাংস কুচিয়ে কিমা করে খাই । এ বেলা ও বেলা ঘিয়ে রসিয়ে । রোজ । কে জিজ্ঞেস করেছিল অণমি রোজ মাংস খণই কি না ?’ কেউ কোনো উত্তর দিল না । কে জিজ্ঞেস করেছিল ? কেমন হাসিহাসি অমায়িক মুখে এর ওর, ওর তার, কালীশঙ্করের, সকলের দিকেই হরিলালবাবু চোখ ঘুরিয়ে-ঘুরিয়ে দেখছিলেন কেমন একটা কঠিনতার আবহাওয়া সৃষ্টি করে তবুও । আমি রোজ মাংস খাই কি না, জিজ্ঞেস করল কে ?’ "ক্ষ্যাম দিন হরিলালবাবু । যে জিজ্ঞেস করেছে সে যখন নাচার, তখন একটা কথা নিয়ে এ-রকম বাঘা তেঁতুলের সিন্নি পাকিয়ে তো কোনো লাভ নেই’— ওয়াজেদ আলি বললেন । ఏb