পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেন, ও ত মাস্টার । ‘মাস্টার, তাতে কী ! খাবে না ? পরবে না ? একজন গোয়ানিজ বাবুর্চির মাইনে— 'আরে ছেড়ে দিন আপনার বাবুর্চির কথা । কালীমাস্টারকে কোয়ার্টার্স দেওয়া হচ্ছে—’ ‘কোয়ার্টার্স ? ‘হ্যা । লিখবে, পড়বে, খাবে, অপরামে থাকবে । ওঁদের অত বেশি টাকাও লাগে না । তিনশ-অগড়াইশ হলেও হয় । তবে এত বড় একটা কলেজ, এত ছেলে, কম মাইনে পেলে ছেলেদের কাছে মর্যাদা থাকে না । মর্যাদা না থাকলে কাজ খারাপ হয় । কলেজের ক্ষতি হয় । ছেলেরা অণজকাল মাস্টারমশাইদের মাইনে খতিয়ে দেখে । বলে, একশ টাকার বকনা, একশ পঁচিশ টাকার বকরি, একশ ত্রিশের বইল যাচ্ছে ঐ, এক-একজন মাস্টারকে দেখিয়ে—’ ‘বইল ! বইল বলে ?’ ‘বইল । বইল বলে ।” জনাব ওয়াজেদ আলি সাহেব হরিলালের দেওয়া চুরুটটা জ্বালিয়ে নিয়েছিলেন। বসে-বসে টানছিলেন । রণতে অণজ ফকরুদিন সাহেবের ওখানে যেতে হবে । প্রায় বছর খানেক কলকাতায় থেকে চার পচদিন হল জলপাইহাটতে ফিরে এসেছেন ফকরুদিন । লিগে ঢুকছেন হয় তো । ‘আপনার চুরুটট হরিলালবাবু, টেনে আরাম আছে । বাঃ । খাশী । কোথায় পেলেন অণপনি ? ‘কোথায় পেলেম । কলকাতায়, আবার কোথায় । কালবাজার ধুনে ধোনাদ করে তবে জুটল। অগড়কাঠিদের কেষ্ট-বিষ্ট্রর সঙ্গে ঘুরে-ঘুরে । খান চুরুট অণপনি ? “আণ লবৎ ।” ‘দেখি । কিছু অগনিয়ে দেব । তাহলে কালীশঙ্করের সাড়ে চারশই ঠিক’— ওয়াজেদের দিকে তাকিয়ে বললেন হরিলীল । ‘কালীবাবু কী মনে করেন—সিকিটাক সহানুভূতি-সমবেদনায় কালীশঙ্করের দিকে ওয়াজেদ আলি সাহেব তাকালেন । হেসে হাত কচলাতে-কচলাতে কালীশঙ্কর বললেন, ‘আপনার ভাল বুঝে যা >OS