পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*আচ্ছা, নিশীথ সেন বলতে বুঝল না, এন-এস বলতেই ধরে ফেলল সবাই, ব্যাপারটা কী রকম হল ?—হরিলালবাবুকে জিজ্ঞেস করলেন ওয়াজেদ আলি একটু খটকায় পড়ে । ‘ও আছে এক কায়দা আলি সাহেব । একদিন কলেজে বেড়িয়ে আসুন না, বুঝতে পারবেন । করিডর দিয়ে হাটতে-ইটিতে শুনবেন টি-বি, টি-বি করে কান ঝালাপগলা করছে । ব্যাপারটা টিউবারকিউলিসিস সম্পর্কে নয়, টি-বি মানে প্রফেসর তারিণী বাড়ুজ্যের কথা-হচ্ছে । দু-চার পা এগিয়ে আর-এক ক্লাসের ছেলেরা বি-বিকে নিয়ে পড়েছে, কোনো বিবি সাহেবের দিকে লক্ষ্য নয়, ছেলেরা বিনোদ বোস প্রফেসরকে ঠুকছে । এমনি এ-এম, পি-এম, ডি-ডি-টি, এল-সি-এম, ডি-ডি-টি, এম-জি-সি এ সবই অাছে।’ ভারী তামাসা বোধ করছিলেন ওয়াজেদ আলি সাহেব । হরিলালবাবুর কাছে আর-একটা চুরুট নিলেন । জ্বালিয়ে নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন সাহেব, জি-এম আছে ?” সকলে হো হে করে হেসে উঠল, ব্রজমাধব অণর কালীশঙ্কর ছাড়া । *আলবৎ আছে । গৌরী মিত্তির তো !

  • ই্যা হ্যা, গুড মরেণ । সকলে হ। হ্যা করে হেসে উঠল অবিপর। ব্র জমাধব ছাড়া । জনাব ওয়াজেদ আগলি সাহেৰ এবারে তার স্ল্যাকসের পকেট থেকে একটা

রুপোর সিগারেট কেস বের করে সকলকে সিগারেট বিলিয়ে দিলেন ।

  • এন-এসের কী হয়েছে ? *নিশীথ সেন এ-কলেজের ইংরেজির প্রফেসর । দেড়শ টাকা মাইনে পাচ্ছে । বেশ তেণ অাছে ; এর চেয়ে বেশি অণর কী পাবে মফস্বল কলেজে ? এ তো কলকাতা নয় যে টাকার উপর পোকা পড়বার ফণক নেই । যা পচ্ছ আমনি রাবণের চিতেয় ঢালো । দেড়শ টাকার বেশি যে-মাস্টার চায় মফস্বলে, তার বদখেয়াল অগছে । এখানে টাকায় দু-তিন সের দুধ পাওয়া যাচ্ছে।’ “কিন্তু চোদ সের পাওয়া যেত । তিন টাকা ছিল চালের মণ—এখন পচিশত্রিশ টাকা হয়েছে। কী যে দইবড় বলছেন আপনি হরিলালবাবু ? দেড়শ টাকায় কী হয় একটা পরিবারের ? ব্রজমাধববাবু বললেন । *হয়ে তো যাচ্ছে । সোয়াশ টাকায় তো হচ্ছে । একশ টাকায় হচ্ছে না ? এ

ごめObs