পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলেজের যে-সব মাস্টার একশ টাকা পায় তারা কি আপনার কাছ থেকে বুদ্ধি ধার করে খাচ্ছে-দাচ্ছে ? ছেলেদের পড়াচ্ছে ?—হরিলালবাবু একটু ' বিরক্ত হয়ে বললেন । 'খেয়ে দেয়ে সুস্থ হয়ে পরিষ্কার জামা-কাপড় পরে ছেলেদের কাছে উপস্থিত হওয়া চাই তো । মনে একটা সুস্থিরতা থাকা চাই, না-হলে কী করে ভাল করে পড়বেন মাস্টারেরণ ? কী করে উপকণর হবে কলেজের ? ব্রজ মাধক বললেন । ‘কলেজের কোনো অপকার হচ্ছে না । স্টাফে যে-টিচারেরা আছেন, তারা ঠিকমতই পড়াচ্ছেন, প্রিন্সিপাল কালীশঙ্করবাবু বললেন, ‘একশ-সোয়াশ টীকায় খাচ্ছেন-দণচ্ছেন, কলেজ গুণতোচ্ছেন ইড়িচাচা পাখির ম েতা চেচিয়ে । বেশ, বেশ আছেন । কে ন মাইনে বাড়িয়ে আমি ড্রা গাছি শিখিয়ে মাথা খারাপ, করে দেবেন তাদের ? হরিলীলবাবু হেসে মাথা নেডে ওয়াজেদ আলির দিকে তাকালেন, ‘শুনলেন তো প্রিন্সিপালের নিজের মুখের কথা, কিন্তু ব্ৰ জমাধববাবুকে কে বোঝাবে । আক্ষেপ করে হাত ঘুরিয়ে, আঙুল নাড়িয়ে কয়েকটা রেখার আঁচড়ে-পোচড়ে কেমন কিভূতকিমাকার করে রাখলেন মুখটাকে । ওয়াজেদ আলি চুরুটে একটি টান দিয়ে বললেন, 'কলেজ কমিটতে ব্রজমাধববাবু একটা হেলদি অপোজিশনের মত । এ না-থাকলে চলে না । ব্র জমাধববাবুর পিঠ চাপড়ে দিয়ে ওয়াজেদ আলি বললেন, "আচ্ছা ব্রজমাধববাবু, মেঠো ইত্বর কি সোনামূগের ডাল খায় ? ‘কথার ধার ধারি না অামি । বোবা হয়ে থাকতে রাজি আছি যদি বুঝি’— ব্র জমাধববাবুর মুখে যে-কথাগুলো এসে পড়েছিল সে সব তোড় থামিয়ে দিয়ে আস্তে-আস্তে বললেন, ‘মাস্টারদের হয়ে কথা বলবার লোক থাকা চাই তো । আছে বটে একজন স্টফ রিপ্রেজেনটেটিভ, কি স্তু ওরকম ন্যাতা-জোবরঃ ভালমানুষ দিয়ে কাজ হয় না।’ “হয় না বুঝি তাকে দিয়ে’, ধোয়াটে দীন মা চোখ তুলে হরিলালবাবু জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কদের রিপ্রেজেনটেটিভ হয়ে কলেজ কমিটতে ঢুকেছিলেন ব্রজমাধববাবু ? কোনো উত্তর দিলেন না তিনি ।