পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করবে। আপনি কে ? নিজেকে কী ভাবছেন আপনি ? ‘কিছু মনে করি নি। ওটা ছিঁড়ে ফেলেছি আমি ।’ ‘ছি’ড়ে ফেলেছেন ? কমিটির মিটিঙে পোষ্ঠগম্ব বাবার খাসির মত ছিড়ে ফেল) হবে ।" ‘কাকে ?” ‘আপনার এই বেকুবিটাকে । "নিশীথবাবুকে ছুটি দেওয়া হবে না । ছুটি যে দেওয়া হবে না সে কথা সে নিজে এসে জানতে না চাইলে জানানো হবে না তাকে’—কালীশঙ্কর বললেন । ‘কী করে জানবে ? সে তো কলকাতায় চলে গেছে ।" ‘জানি না । আমাদের জিজ্ঞেস করে ষায় নি ।” ‘দরখাস্ত তো দিয়ে গেছল ।” ‘কতবার বলব আপনাকে ব্রিজমাধববাবু, যে সেটা কানকাটা দরখাস্ত— ‘কার কণনকাটা – দরখাস্তের, না যাকে দরখাস্ত করা হয়েছে তার, সেটা কমিট দেখেশুনে ঠিক করবে?—ব্রজমাধব বললেন । "নিশীথ সেনকে ছুটি দেওয়া হবে না ওয়াজেদ আলি সাহেব । ছুটি না পেয়েও যদি কলেজে না আসে তা হলে তার চাকরি থাকবে না।’ ‘চাকরি থাকবে না ? কুড়ি-বাইশ বছর এ কলেজে কাজ করছেন তো নিশীথবাবু । চাকরির উপর হাত দেয়া—ওটা জবরদস্তি হল—ওয়াজেদ আলি বললেন, "নিশীথবাবু যদি কলকাতায় গিয়ে থাকেন তা হলে তাকে ব্যাপারটা খুলে জানিয়ে দেওয়া হোক । লিখে নিন আপনি কালীশঙ্করবাবু। নিশীথবাবুর চিঠি না পেয়ে কিছু করতে যাবেন না’ । ‘কমিটির মিটং হলে তবে তো লিখব। নিশীথবাবুর দরখাস্ত দেখে কমিট কী ঠিক করে কে জানে। হয় তো সাসপেণ্ড করবে। হয় তো বরখাস্ত করবে । ছুটি না-নিয়ে কলকাতায় চলে গেল ; জবরদস্তি কে করছে— নিশীথবাবু না আমরা ?’ কালীশঙ্করবাবু বললেন । ‘সেটা কলেজ কমিটির মিটিঙে বোঝা যাবে’—অমায়িক মুখে তবুও গম্ভীরভাবে ৰঙ্গলেন ওয়াজেদ আলি, ‘রববার তো মিটং, হরিলালবাবু ? ‘হ্যা, ওয়াজেদ আলি সাহেব, আপনাদের কাছে দরকারি চিঠিপত্র আজকালই SSU