পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গেলেন, তুই এলি’, সুমনা বললেন, ‘আমার বিশ্বাস হয় না, তুই এখানে ছিলি না । গলা ছেড়ে হেসে উঠতে চেষ্টা করলেন তিনি । কিন্তু হাসি হল না । কেমন একটা বিষম আওয়াজ বেরুল । সে স্বর শুনে আশেপাশে কেউ থাকলে লাফ দিয়ে উঠে এসে বলত, ওরে বাবা এ অণবণর কী হল ? ‘আস্তে মা, সোর করো না । মহিমদের ঘুম ভেঙে যাবে । আমি জানলার ফঁণক দিয়ে দেখে এসেছি স্ত্রীকে জড়িয়ে ঘুমিয়েছে মহিম ।’ আরে নচ্ছার, তুই কত কী দেখলি, কত চুকলি কাটলি । নে হাত-পা ধুয়ে অণয় । এখন ঘুমোবি তো ? না কিছু খাবি ? ‘এই যে বললে কিছু খাবার নেই—’ নেই তো । কিন্তু মতিলালের দোকানে কিছু মুড়ি-বাতাস পাবি ? "এত রণতে ? ‘টেমি জ্বলছে না, এই তো দেখছিলুম ? ‘র্কাপ বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েছে । আমি দেখে এসেছি । ‘কী হবে তা হলে ?’ ‘কিছু হবে না, জল খাব । পকেট থেকে সিগারেট বের করে নিয়ে হারাত বললে, “এটা খেতে দেবে ?’ ‘কিছু যখন নেই খাবার, তখন না খাবি তো করবি কী রে বাছা—’ তোমার সমুখে তামাক খাই নি কোনো দিন আমি । তুমি এ-সব পছন্দ কর না জগনি । কিন্তু আগজ তো ধোয়ণ ছাড়া খাবার কিছু নেই। এটা খেতেই হবে—’ কিন্তু তবুও সিগারেট না-জালিয়ে পকেটের ভিতর ফেলে রেখে দিল হার্যত । সুমন তাকিয়ে দেখলেন, কিছু বললেন না । একটা র্কাসার গেলাস দিয়ে জলের কুঁজে ঢাকা ছিল, তিন-চার গেলাস জল খেয়ে কুঁজোয় একটা ঝাকুনি দিয়ে হারীত বললে, কিছু নেই তো অণর, এর পর জলতেষ্টা পেলে কী হবে ? তুমি কী খাবে ?” ‘আমার তেষ্টা পায় না, তোর তেষ্টা পেলে মহিমবাবুদের কলসির জল খেয়ে নিস—শেণবণর ঘরের দরজা আগবজগনে অগছে ওদের ।” শুনে মহিমবাবুদের জলভরা কলসিটা নিয়ে এল হারীত। বললে, ‘এতেই হবে । কাল খুব ভোরবেলা দোয়েল শিষ দেবার আগে শ্বাওড়া তলায় আছাড় মেরে ফেলে অসব কলসিট । সারণটা দিন অৰ্চিত মাসীর মুখের দিকে তাকিয়ে دهه ها