পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাকিয়ে দেখব কী ভাবে । কী নাম ওর অর্চিত ন৷ অর্চনা ? ‘অর্চনা ।" ‘তবে অর্চিতা ডাকে কেন ? "সে তোমার বাবা ডাকে ।”

  • কেন ?? ‘নানা ফিকিরে মানুষের সঙ্গে একটু টিটকিরি-পিচকিরি কেটে মাথাটা একটু ঠাণ্ডা রাখে, কথা বলে, কথা বলে, কথা বলে, বা পরে । কাজ করে বটে কথা থামিয়ে, না হলে মাস্টার বলে ? মেশে মেয়েদের সঙ্গে, কিন্তু আর-একটু বেশি মেয়ে-ঘেঁষা হলেই অর্চনা ওকে ধরে ফেলেছিল ।”

‘কলকাতায় গিয়ে থাকবেন কোথায় ?” "জিতেন দাশগুপ্তর ওখানে । ‘কলেজ থেকে ছুটি নিয়ে গেছেন ? ‘ছুটির দরখাস্ত করে গেছেন । বলেছেন জলপাইহাটতে ফিরবেন না আর, কলেজে কাজ করবেন না আণর ।' ‘কাজ করবেন না, ফিরবেন না, তা হলে তোমার কী হবে ? ‘আমার কী হবে সেটা ঠিক করবার জন্যেই তো তুমি এখানে এসেছ হরীত । কে তোমাকে টেনে আনল ? যে-রাতে উনি চলে গেলেন, সেই রাতেই তুমি এলে এটা কেমন হল ?’ এটা ঠিকই হল, তবে জিনিসটা আশ্চর্য কিছু নয়, তুমি তা মনে করতে পার, কিন্তু নিতান্তই স্বাভাবিক ব্যাপার । অসাধারণ কিছু নেই পৃথিবীতে, থাকলে মন্দ হত না । কিন্তু, তার ?] চিন্তার সম্পর্কে বেশি কথা বলতে রণজি ছিল না তার মন আজ এই রাতে, সুমনার মত অসুস্থ সেকেলে আই-এ পাশ স্ত্রীলোকের সঙ্গে । ‘আমি এসে পড়েছি বটে, কিন্তু দু-তিন দিন মাত্র থাকবার জন্যে এসেছিলুম, কলকাতায় এখন আমাদের খুব কাজ, হরীত বললে । “কিসের কাজ ? তুমি চাকরি কর ? 'না, আমরা একটা পার্টি গঠন করেছি—’ “কিসের পাটি ? দেশ তো স্বাধীন হয়েছে— সুমনাকে সব কথা বলবার দরকার নেই হারতের ; সুমনা শুনতেও চায় না । বলছে, দেশ স্বাধীন হয়েছে । হরীত অম্ৰাণ-পৌষ মাসের দিঘির মলিদার S२O