পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘কোনো নাম নেই’, হরীত বললে, ‘বলতে পার সোস্থ্যালিস্ট, কিন্তু কংগ্রেস সোস্যালিস্ট না । আরো আট-দশ রকমের সোস্থ্যালিস্ট পাটি দেখা দিয়েছে । ‘এ’র থেকে ‘জেড আদি ইংরেজি অক্ষর সবগড় হয়ে গেছে পাটিগুলোর নাম দিতে-দিতে । কাজে-কণজেই আমরা অণর-কোনো বর্ণমালা ব্যবহার করব না, কোনো নাম দিচ্ছি না পাটির—’ ‘পার্টি শব্দটাও উঠিয়ে দাও । ও শব্দটা শুনলেই আমার কেমন লাগে । আমাদের গণেশ দিনরণত পাটি-পাটি বলে মাথার পোকা খসিয়ে ছড়িত মানুষদের । বিভাকে নিয়ে পালাল । টাকার খাকতি পড়তেই বিভা আর ছেলেকে ফেলে পার্টি ক্যাম্পে আছে, অনুকণা নামে একটি মেয়ের সঙ্গে সহবাস করছে, কেউ কিছু বলছে না ।” ‘তুমি এত কথা জানলে কী করে ? ‘অর্চনা আগমণকে বলেছে ।" ‘অর্চনগমণসি জগনল কী করে ? ‘আমি জানি না । তুমি শুনেছ এ-সব ? ‘না ।” ‘রাজনীতি করছ, টাকা পাচ্ছ কোথায় ? খেতে পরতে দেয় কে ? সুমন বললে, ‘বলি অ হরীত, হরীত, হরীত !’ ‘কী গো ? ‘ঘুমিয়ে পড়লে নাকি ? চাকরি করছ না, টাকা পচ্ছ কোথায় ? খাওয়াচ্ছে কে ?” ‘আমার এক খাওয়ার জন্য অামি কিছু রোজগার করি । ছেলে পড়াই, লিখি, মাঝে-মাঝে বাস কণ্ডাক্টারি করি, মোটর ড্রাইভগরি শিখছি । কেরানিগিরি গেলামি-টোলামি করব না আগমি ।’ একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে সুমন বললে, ‘গোলামি করেই তো তোমার বাবার এই দশা হল । এর চেয়ে ঠিক সময়ে কলকাতায় গিয়ে মোটর ড্রাইভারিও যদি শিখতেন । নিজে, পরে, ট্যাক্সি চালিয়েও যদি থাকতেন কলকাতায়, কত স্বাধীনতায় মর্যাদণয় কলকাতায় থাকতে পারতাম আমরা’ । ‘তুমি কী করে জানলে এ-সব’, হরীত একটু তামাসা বোধ করে । সুমনার দিকে তাকগল । S२१