পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলেজের কাজে ও-রকম নিরুৎসাহ হয়ে পড়াটা ঠিক হয়েছিল কী ? ছুটি যখন কিছুতেই দিতে চায় না ওরা তখন ছুটির দরখাস্ত দিয়ে কালীশঙ্কর আণর হরিলালকে চটানো, সুমনকে এ-রকম অবস্থায় ফেলে কলকাতায় যাওয়া ঠিক হয় নি নিশীথের । হারাত কোথায় ? গাল ফুলিয়ে নিশীথের জীবনের গোলকধাঁধার ভিতর নিজের মনপবনটাকে ফুসিয়ে-ফাসিয়ে দিতে গিয়ে চোখের পিচুটি পরিষ্কার করতে-করতে, পইচারি করতে-করতে—কেমন অপ্রস্তুত হয়ে পড়ল সে । ঠিক আছে’—ডাক্তার মজুমদার এইবারে নিজেকে টানটান দাড় করিয়ে নিয়ে বললেন । ‘ঠিক আছে ?” কিছু ভয় নেই, চোখ মেলেছেন ; এক্ষুনি কথা বলবেন, ঠিক আছে—মজুমদার বললেন, ‘আমি প্রেসক্রিপশন লিখে দিচ্ছি, এই ওষুধগুলো দেবেন । বুঝবেন তো অণম।র নির্দেশ ? বুঝব বৈকি—আমি হাসপাতালের— ‘মেয়েদের কমিটির মেম্বার | হে হে হে । অণচ্ছ। আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি— প্রেসক্রিপশন লিখতে-লিখতেই বুঝিয়ে দিতে লাগলেন তিনি, অর্চনা ঝুকে পড়ে ঠিক করে নিচ্ছিল । "নিশীথবাবু কি চলে গেছেন ? ‘ই ’ ‘ঠিক আছে । মহিমবাবু কোথায় ? ‘বাইরে । ডাকব ?’ ‘দরকার নেই । ঠিক আছে । বুঝলেন, উপরে লিখে দিয়েছি যে-ওষুধটা, সেটা একট। মিকশচণর, অনিয়েই একবার দেবেন, তার পর চার ঘণ্টা অন্তর, দু বারের বেশি নয় ।” ‘মোট তিন বার তা হলে ?’ ‘ঠিক আছে । অপর এই যে-পাউডারটা দিচ্ছি—’ ‘মোট তিন বণর তা হলে ?’ ‘পাউডার ? উৎকণ্ঠিত হয়ে মজুমদার তীকালেন অর্চনার দিকে — ‘না মিকশচণর ” S ९ సి