পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘সে তো মিটে গেছে, ঠিক আছে । এই পাউডারটা দু বার দেবেন মিকশ্চার দেওয়া হয়ে গেলে এক ঘণ্টা পর পর—’ মজুমদারের ভাষাটা খুব পরিষ্কার নয়, তবে হেঁয়ালির ভাষা নয়, অৰ্চনা বুঝে নিল ; বুঝে নিয়েছে কি না অৰ্চনার মুখে চোখ বুলিয়ে সেটা বিদ্যুৎক্ষিপ্রতায় একবার খতিয়ে নিলেন কি না-নিলেন ডাক্তার মজুমদার, এক ঘণ্টা পর পর—দ্র বার—বেশি হয় না যেন । ঠিক আছে । অণর এই পিলটা— রাতের ঘুমের আগে—একটা শুধু । ‘একটা ?” ‘ঠিক আছে।’ ‘আজকের রাতের জন্যে শুধু ? 'আজকের রাত শুধু ’ ‘কালকে মিকশচণর দেব ?’ ‘কাল সকালে এসে ব্যবস্থা করব অগমি ।’ ‘মিকশচণর পাউডার দেব না তা হলে কাল ?’ অর্চনার কাধে নিজের হাত কি হাতের ছায়ার, একটা অণলতে চাপ দিয়ে ডাক্তার বড় বসন্তবাউরি পাখির মত অমায়িকভাবে হেসে বললেন, ‘কালকের কথা কাল । আজকে এই ওষুধগুলো দিন । ‘কী খাবে ? ‘দুধ, ফলের রস । কমলা। .প্লুকোজ। যেমন খাচ্ছিলেন— ‘ভগত খেতে পারে ?’ “যদি খেতে চান ? নরম চাটি, মাখন, মাছের ঝোল, দুধ দিয়ে—’ ‘ঠিক আছে?—অৰ্চনা বললে । ঠিক আছে-টা মজুমদার নিজেই বলতে যাচ্ছিলেন, অৰ্চনা সেটা ঠিক সময়েই বলে ফেলাতে ডাক্তার মজুমদারের চিন্তা ও অনুভূতির প্রবাহ একটা সদগতি পেল, ভাল লাগে না তার । সদাশয় মুখে অৰ্চনার দিকে তাকিয়ে তিনি বললেন, "নিশীথবাবু যাবার বেলায় বলে গেলেন কিছু আপনাদের ? ‘কী কথা ?’ ওষুধপত্র আমার জ্যোৎস্নার ডিসপেন্সারির থেকেই আনিয়ে দেবেন। সেখান থেকেই তো আনানো হয়। S\ථO