পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ও নিয়ে মাথা ঘামাবেন না—নিশীথবাবু ভিজিটের টাকাকড়ি দিয়ে গেছেন —এক মাস-দেড় মাসের—’ অর্চনা শুনছিল । ডাক্তারের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশনটা তাতে নিয়ে তাকিয়ে ছিল সেটার দিকে ; কোনো কথা বললে না । ‘ওষুধপত্রের দাম দিয়ে গেছেন নিশীথবাবু।” ‘শুনেছি ।’ ‘আমার মনে হয় ছ মাসের ভিজিট, ওষুধ, পেটেণ্ট ওষুধ সব চলবে যা-টীকা দিয়ে গেছেন, তাতে । পঁচশ টকা তো কম নয়।’ অর্চনা প্রে সক্রিপশন দেখছিল—আগড়চোখে ; চোখ

  • Utছাড ওঁর অপজ যে-র কম হয়েছে রোজই তো

লে ত{কণল সে । -রকম স্ট্রোক—স্ট্রোক ঠিক নম—রোজই তো আর এ-রকম ইয়ে—অপরে—কী বলে ও কে—কার্ডিয়ণক গোলমাল হবে না, ঘন ঘন ডাকতে হবে না আমাকে । তা ও পণচশ টণকণয় —বেশ—’ 豆 어\ نیا ‘ঠিক আছে’ —অৰ্চনা বললে । ডাক্তার প্রায় চোখ বুজে কথা বলছিলেন । একটু বিম্মিত, ব্যাহত হয়ে চোখ দুটো পুরোপুরি খুলে ফেলে অৰ্চনার দিকে তীকালেন । একটু চুপ থেকে সুমনার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘এই যে চোখ মেলেছেন; কথা বলছেন। কী বলছেন শুনুন তো । আমি কানে খাটো হয়ে পড়ছি, যা বয়েস । এক রকম আমেরিকান ইয়ারফোন বেরিয়েছে—খুব ছোট— আফিমের গুলির মত—না, সে আগের জিনিস নয়—কানে রাখলে সব আমন পরিষ্কারভাবে—কী বলছেন—হারীত ?—হারীত কী ?—ও—ওর ছেলে হরীত, ঠিক আছে । হরীতকে দেখতে চাচ্ছেন ? ঠিক আছে । এখন কথা বলবেন সব । ওষুধগুলো এখুনি আনিয়ে নিন। জোৎস্নার ওখান থেকে। ভিজিটের, ওষুধের সব টাকা দিয়ে গেছেন নিশীথবাবু’। মজুমদার লম্বা-লম্বা পা ফেলে চলে যেতে-যেতে বললেন, ‘বেশ পাকা কাজই করেছেন নিশীথবাবু—দু মাসের দণদন দিয়ে আগমণকে লটকে রেখে গেছেন । হে-হে—তা দেড় মাসের তো হবেই’ । ‘অt জ সন্ধের সময় অ iসবেন অণপনি এক বণর ?’ ‘আমি ? না, অ ঈ আর কী হবে । কাল সকালে আসব।' “ঠিক আছে।’