পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এসো, অর্চনা 1’ খানিক ক্ষণ পর ওষুধ, কমলালেবু, দুধ খেয়ে একটু জোর পেল যেন সুমন । ‘কাল রাতে হরীতকে বকেছিলুম।"

  • কেন ?" ‘পনেরই আগস্টের পর দেশে যে আমাদের লক্ষ্মীর মত সূর্য জ্বলছে এ ও স্বীকার করতে চায় না ।”

‘ওর বাবা স্বীকার করেন, নিশীথবাবু ? তিনি কী করেন, না করেন, আমরা জানি না । তাকে খুঁজে পাওয়া শক্ত । ওর বাবার মতন তো নয়, হরীতকে ধরা ছোয়া যায়। পনেরই অগগস্টের পরেও ওর মনটা কেমন কালি মেরে অগছে।’ ‘কেন ?? কেন ? যা-হয়েছে তাতে খুশি হয় নি।’ ‘কী চণয় হ{#ীত ?’ ‘আবার পলিটিকস করছে ।" ‘কী রকম পলিটিকস ? রিভলভার ধরবে ? ‘কী জানি । স্বাধীন হয়েও শান্তি নেই । ছেলেমেয়েগুলোর এই দশা । উনি কলেজটাকে এক পাশে ফেলে জলপাইহাটির ঘর ভেঙে চলে গেলেন যা-নেই তার ভিতর হারিয়ে যেতে । আমার অসুখের জন্যে পরের রক্ত খেতে হয় আমাকে, তবুও শরীরে রক্ত থাকে না, তিল-তিল করে মরে তবুও ফুরোতে চায় না । বডড বেকায়দায় পেয়েছে দেশের স্বাধীনতা আমাদের ক-জনকে । তবুও’—সুমন একটু আঁাটর্সাট হবার চেষ্টা করে বললে, ‘ইংরেজদের শাসন নেই সেটা আমি বোধ করছি । তুমি আর মহিমবাবু তো ভাল আছ, স্বাধীনতাটাকে বেশ—খুব—উপভোগ করছ না তোমরা ? ‘হঁ। আমরা বেশ ভাল আছি, খুব মাল টেনে খাচ্ছি দেশের স্বাধীনতাটাকে —হাসতে-হাসতে বললে অর্চন । বেলা তিনটের সময় হরীত ফিরে এল । মুখ-চোখ-চুল ভারী খারাপ দেখাচ্ছিল তার । যারা অাগে কোনোদিন দেখে নি তাকে, এ চেহারার দিকে তাকিয়ে >W)○