পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বললে, ‘হ্যা, বেশ বড় দিঘি । তা দেখে এসো গিয়ে একদিন হগরীতের সঙ্গে । আমি দেখেছি—চার-পাচ বছর আগেও গিয়েছিলাম একবার । জুলেখ্য বেগমের দিঘি এখান থেকে কুড়ি মাইলটাক তো হবেই—লালপুরের পথে— বেশ সুন্দর জায়গায়—প্রান্তরের ভিতর, চারদিকে উচু-উচু গাছপালা, ওরা কী বলে হারীত—হঁ্যা হ্যা পহরিঘাসের দেশে, সুমনাদি, সুমনাদি— সুমন ঘুমিয়ে পড়েছে । ‘ঘুমিয়েছে মা ?’

  • ই্য ।”

‘অচিছা, ঘুমোক ৷” ‘আমি উঠি । ‘বোসে । মহিমবাবু কি কলেজ থেকে ফিরেছেন ?

  • न | ।।' ‘তা হলে বে:সে তুমি । কথা বলা যাক । বসতে পার নিশ্চয় তুমি’—হারাতের চোখে কেমন একটা সমীহ ও অণকণভক্ষণর অণন্তরিকতা । তাকিয়ে দেখল অর্চনা । কী রকম এই ছেলে ? কী চায় । ‘কাল রাতে রানুর কথা বলছিলুম ; মা বিরক্ত হলেন— ‘কে, রানু ? কোথায় সে ? কোনো খোজ পাওয়া গেছে রানুর ? না ! সেই কথাই মাকে বলছিলুম। এক কণী ভূষিকে কী করে খুঁজে পাওয়া যাবে এক মাঠ ভূষির ভিতর, বলছিলুম মাকে । শুনে, ক্ষেপে উঠে, আমাকে বাড়ির বীর না করে ছাড়বেন না তিনি— ‘তাই বলে বেরিয়ে যেতে হয়, ও-রকম ভাবে ক্ষেপিয়ে দিয়ে এ-রকম মরার মতন রোগীকে এক লা ঘরে ফেলে ? তোমার যে কবে কণগুজ্ঞান হবে হরীত ?’— বকছে বটে, কিন্তু তবুও বকুনির হুল নেই, হু লটা খসিয়ে নিজের গলা থেকে অণওয়াজ অণর কথা অর্চনা বার করছে । ‘ও-রকম মারমুখো হয়ে উঠলে আমি কী করতে পারি ? কিছু করতে পার না ? অথচ তুমি রিভলবার ধরে কংগ্রেসকে মারতে চলেছ ?” 'কংগ্রেসকে মারতে চলেছি মানে ? কী যে বল তুমি অর্চনামাসি । মা তোমাকে যা ভজিয়েছে তাই বিশ্বাস করেছ তুমি। কংগ্রেসের ভিতর একদিন ছিলুম আমি । এখন আর নেই। দেশ তো বিমুক্তি পেল, কেন এ-রকম হচ্ছে এ

ゞ">