পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কামনার জন্ম হয় । মুখ, কপাল, কেমন যেন গৌরী রৌদ্রে রক্তিম হয়ে আছে আচনি মাসির—ছায়ার ভিতর বসে অাছে অথচ । অনির্বগণ এই জিনিস । আচfনগর দিকে তাকিয়ে রইল হরীত । তাকিয়ে রয়েছে যে টের পেল আচনি । তার মুখে যে রক্তসঞ্চার কী এক শোভা এনেছিল—ধেন কোনো ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের দেশ থেকে—খুব তাড়াতাড়িই যেন মিলিয়ে গেল তা । কেন আচfনার সঙ্গে এ রকম তির্যক ব্যবহার করছে হরীত ? জলপাইহাটির কোনো যুবতী কি এ পথ পরিষ্কার করে দিয়েছে হরীতকে ? না তো, ৭খানকার প্রণয় কোনো মেয়ের সঙ্গেই তো তার অণলাপ নেই । কলকাতার মেসে-মেসে থাকে সে—রাস্তায় অগডডায় বস্তিতে ঘুরে বেড়ায়—সেখানে চোখে পড়ার মত কাউকে দেখে নি ; মাঝে-মাঝে ক্যাম্পে যায় বটে, হগরীতের ধর্মে বিশ্বাসী মেয়ের অাছে সেখানে ; কিন্তু সেখানে হারতের মোটামুটি কর্মী নাম ; ভাল করে তাকিয়ে দেখে না কোনো মেয়ের দিকে ; কিন্তু তাকিয়ে দেখবার মত ছিলও কি কেউ ? ভাবছিল হরীত । হারাতের যা বয়স, মনের যে অপূর্ব অস্বচ্ছ রুচি, এতে কোনো দিকের প্রায় কোনো মেয়েই মনে ধরল না তার ; জলপাইহণটিতে এসে নজর পড়ল একজন বড় বিবাহিত মহিম ঘোষণলের ভঁপড়ার স’ সারের এই দেবযানীটির দিকে । না, না এটা কিছু নয় । ভাল লেগেছে দিদির মত—হয় ত বন্ধুর মতই অচনামাসিকে । তার জীবনের আসল জিনিস হচ্ছে, কলকাতায় ফিরে যাওয়া, সেখানে গিয়ে কতগুলো দরকারি বই পড়া, কথা ভগবা—যা বইয়ের অতিরিক্ত, সুস্থত সুবিধা আনা যারা তা পাচ্ছে না কোনোদিন সেই সব মানুষদের জন্যে, খানিকটা ভাল করতে চেষ্টা করা—পৃথিবীকে, মানুষের নীতিকে—খুব সম্ভব, মানুষের মনটাকেও । অসম্ভবই সব—তবুও চেষ্টা করা দরকার । হাস্থ্যকরই সব । কিন্তু তবুও হাসি গম্ভীর হয়ে ওঠে । ‘কলকাতায় তুমি সঙ্ঘের কাজ ছাড়া আর-কী করছ হরীত ? “এ ছাড়া কী অপর করবার অাছে ?” "ওরা তোমাকে টাকা দেয় ? ওরণ করা ? অামার কর্মীরা ? কোথেকে টাকা পাবে ? ‘ত। হলে কী করে চলে তাদের ? কী করে চলে তোমার ? "ওরা এখনো বাড়ির খেয়ে’, হারৗত একটু হেসে বললে, “আমাকে অবিশ্ব্যি S8☾ SO