পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বললে, “কই আপনি বললেন না তো, মেয়েকে কণর সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন ? ‘কেন, কী হয়েছে, আমি নিজে যেতে পারি নি, অামার নিউমোনিয়া হয়েছিল তখন, জলপাইহাটি কলেজের প্রফেসর মহিমবাবু ভানুকে র্কাচড়াপাড়ায় তার মামার বাড়িতে রেখে এসেছিল । মহিম ফিরে এসে বলেছিল আমাকে, যে ভানুর মামা তাকে যক্ষ্মণ হাসপাতালে রেখে দেবেন । ব্যবস্থা করছেন ।” সুবল বললে, ‘তারপর আর-কোনো খোঁজখবর নেন নি আপনারা ? নিতে পারি নি। নিউমোনিয়া থেকে সেরে উঠতে সময় লাগল । স্ত্রীর খুব বেশি অসুখ হল । চলছে এখনো, বঁাচবে কি না কে জানে। আমার ছেলে তো কলকাতা রানাঘাট, রানাঘাট কলকাতার বঁাশবনে পলিটিক্স করে বেড়াচ্ছে । মফস্বলে মাস্টারি করে সব দিক সামলানো বড় কঠিন সুবলবাবু । ‘একটা চিঠিও তো লেখেন নি ? ‘কাকে শঙ্করবাবুকে ? আমার স্ত্রী লিখেছিলেন । কোনো উত্তর পান নি । ‘শঙ্করদ। তো বললেন না কিছু চিঠির কথা— ‘বলেন নি ? নিজেও আমাদের জানান নি কিছু । কেমন আছে ভানু ? ‘বেড পায়নি কণচডগপাড়া হাসপাতালে— 'বেড পায়নি ! নিশীথ আকাট অন্ধকারে সুবলের দিকে তাকিয়ে রইল, ‘কোথায় অণছে তা হলে ?’ নমিতা ঘরের ভিতর ঢুকে পড়ে সুবলকে দেখে নিজেকে একটু সামলে নিয়ে বললে, ‘আমি যাচ্ছি, নিশীথবাবু ' ‘কোথায় ? ‘প। কঁসার্ক। সে ।” ‘আপনার বাব। ডাকছেন বুঝি ? কেমন আছেন তিনি ?” নমিত একটু থেমে ভেবে বললে, “আছেন এক রকম। আগের চেয়ে যে খারাপ তা নয় । কিন্তু ম! ডেকেছেন ও-ফ্ল্যাটে, মার বডড অসুখ হয়ে পড়েছে ।’ ‘কী হয়েছে ?” মাথায় যন্ত্রণ খুব, জুলফিকার ফোন করেছিল । আমাকে যেতে বলেছে, আডচোখে সুবলের দিকে তাকিয়ে নমিত বললে, ‘ইনি কে ? ‘ইনি হলেন সুবলবাবু, ডাক্তার সুবলবাবু I' ‘অণজ্ঞে—'