পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সকালবেলা কোন দিকে যাবে সে ? জিতেন তো বেরিয়ে যাবে। নতুন জায়গায় এলে অদ্ভূত অবোলা হরবোলা জিনিসগুলোর ভিতর ঘুম আসতে চায় না তার ৷ পাশের কণমরণয় দেয়ালে আগবণর কিন্নরের বাচ্চা আছে, দেড়টা বাজিয়েছে এরপর দুটো অগড়াইটে তিনটে সাড়ে তিনটে করে পণচটা অবিদ বাজিয়ে যাবে—শুনতে হবে নিশীথকে । খুব সম্ভব পাচটার সময় ঘুম আসবে ( জিতেন দাশগুপ্ত বেরিয়ে যাবে তখন ) । পাচটায় ঘুমুলে আটটার আগে উঠতে পারবে সে ? ওপরে যে-মহিলা আছে জিতেন তাকে কণী পরামর্শ দিয়ে যাবে ? বারবার নিশীথের নিদগলি দেখবার জনে ওপরের থেকে নেমে আসবে কি সে ? তারপর ঠিক যখন আটটা-সোয় আটটার সময় জেগে উঠে নিশীথ সুড়সুড় করে বেরিয়ে যাবে পূর্ব দক্ষিণ কলকাতার কোনো ঘণটির উদ্দেশে, কিংবা আরো দূরে উত্তর কলকাতার দিকে, তখন কি ‘চা হয়েছে, চা হয়েছে, না-খেয়ে যাচ্ছেন ? চা এনেছি—’ পিছু ডাক শুনতে হবে মেয়েটির ? না, না, তা হবে না । সে সব মেয়ে আজকাল আগর নেই, দশ-বার বছর আগে কলকানায় সে-রকম দু-একজনকে দেখেছিল নিশীথ, আজকালকার এ-সব স্ত্রীলোকেরা আদিমানবের মত রোমাঞ্চে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আগুনের ব্যবহার যণরণ প্রথম শিখেছিল । এস-সি মুখার্জি কে ? ‘কে এক মুখুজ্যে—জিতেন দাশগুপ্ত বললে । তারপর বললে, ‘সলিল মুখুজ্যের স্ত্রী বার্মিজ ; ওরা রেঙ্গুনে ছিল অনেকদিন। সলিল বাবুর স্ত্রর নাম মা থিন। রং খুব ফর্শণ, লম্বা পুরুষের মত দেখতে । অামি ওকে মাটিন সাহেব বলি ? শুনতে-শুনতে নিশীথের ঘুমের আবেশ কেটে যাচ্ছিল । ‘তোমার শাশুড়ি মা-থিন কোথায় অগছেন জিতেন দাশগুপ্ত ? ‘ওরা আজকাল কলকাতায়ই আগছে, পার্ক সার্কাসে থাকে। বড় দাঙ্গণটার সময়েও এখানেই ছিল । হেঁটে বেড়িয়েছে, হামলা দেখেছে ; পুলিশের ট্রাকে ছুটে, রেডক্রশের গাড়িতে চড়ে দিনরাত একঠাই করে দিয়েছে । ঐ ওদের রকম । মানুষকে মানুষ খুন করেছে, ম্যানহোল থেকে আধিকাটা মানুষ টেনে বের করে হাসপাতালে দেীড়নো তাকে বঁচিয়ে তোলবার জন্যে, মার্টিন মুখুজে 6.