পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘কারো-কারে জীবনে ?—বললে নিশীথ অণবণর । ‘আমি উঠি, রণত হয়েছে।’ ‘ভানুকে আপনাদের বাড়িতে রাখলে আপনাদের ক্ষতি হতে পারে সেট। স্বীকার করেন তো ?’ সুবল বললে, ‘রোগ যে-রকম গেড়ে বসেছে, তাতে খুব সাবধানে থাকলেও অামার না হোক, মণর হয় তো হতে পারে । ‘খুব সাবধানে থাকলেও ?’ ‘ভানুকে দেখতে মা দিনে দু-চারবার যাবেনই, ঠেকানো যাবে না । আমি বাড়ি না-থাকলে আরো কী করবেন, না করবেন, বলা যায় না । খুব বেশি স্নেহঅণত্তি—মণকে ভালবাসি অ।মি । এই পৃথিবীতে মা ছাড়া কেউ তো আগমণর নেই ।” ‘সুবলবাবু, জেনেশুনে কেন কেউটে ঢোকাচ্ছেন ঘরের ভিতর ? পৃথিবীর অহ্নিক গতির একটি ধ্বনিকণর মত বিলীন হয়ে যাবার আগে বললে নিশীথ । সুবল উঠে দাড়াল । পকেট,থেকে একটা কার্ড বার করে দিল নিশীথকে—‘এই যে অণমার ঠিক না । ফোন নম্বরও আছে । কার্ড আপনি হারিয়ে ফেলবেন, ঠিকানাটা আপনার বইয়ে এক্ষুনি টুকে রাখুন নিশীথবাবু— বলে, চলে যাবার আগে ঘরের ভিতর রাতের ভরপুর বাতাসের ভিতর দাড়িয়ে সুবল বলবে ভাবছিল, ভানুকে আমার ভাল লেগেছে । কিন্তু তবুও নিশীথকে বললে না কিছু । প্রণয় অণন্দ দ্রু করে ফেলেছিল যেন নিশীথ । কি স্তু বিশেয কোনো তথ্য নেই তার হাতে—ক্রমেই বিজ্ঞানী হয়ে উঠছে তার মন । তেমন কোনো স্পষ্ট সম্বন্ধচিহ্নের অভাবে সুবলের মনের ভিতর প্রবেশ করতে চেষ্টা করল না সে । ছেলেটি অনেকক্ষণ হয় চলে গেছে । বাতি নিবিয়ে রাখল । অন্ধকার । দমক বাতাসে মেঝের আনাচে-কানাচে মাথ কুটে মরছে ফোন নম্বর— নাম—কার্ড— রণত দশটা-সাড়ে দশটার সময়ে ও নমিত ফিরল না । তা হলে ফিরবে না অণর অণজ রাতে অনুভব করে নিয়ে নিশীথ চান করে খাওয়া দাওয়ণ সেরে জিতেনের শেয়ার ঘরের পাশে তার বাড়ির অফিস ঘরে ঢুকল । দিব্যি বিছানা তৈরি আছে । সোফা, কুশন, ইজিচেয়ার রয়েছে। সিলি ফ্যান, >Q>