পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিন্তু খুব গেড়ে বসেছে রোগটা—দুটো লাঙ্গস হয় তো—সুবল ভালবেসে মন দিয়ে চিকিৎসা করবে। কিন্তু ধন্বন্তরি নয় তো মজুমদার ধন্বন্তরি নয়, অৰ্চিতার টান আছে নিশীথদের জন্যে । কী অপরাধ হত জলপাইহাটিতে ছোট আগশা, সাদামাটা কাজ, খণটি শান্তি, বৃহৎ মমতার ভিতরে পড়ে থেকে এক দিন পৃথিবীর থেকে অণুর মত রেণুর মত একটুখানি নাম মুছে ফেলে সময়ের নিরবচ্ছিন্ন গতি-অগতিসাগরের অচেতনায় হারিয়ে গেলে ? আচ্ছন্ন হয়ে এসেছে, বিছানার কাছেই দেয়ালে সুইচ, ডান হাত বাডিয়ে আলোর সুইচ নিবিয়ে ফ্যানের সুইচ চালিয়ে পাশ ফিরে ঘুমিয়ে পড়ল নিশীথ । পৌনে বারটা বেজেছে । দেড়টার সময়ে নমিতার মোটর এসে থামল । মোটর, গ্যারাজে ঢুকিয়ে কলিং বেল টিপতেই, হানিফ বেরিয়ে এল । গণরাজের দরজায় হানিফকে ত{লা মারতে বলে, নিচের তলায় সদর দরজা আটকে দিয়ে, সিড়ি ভেঙে উপরে চলে গেল নমিত । ঘুম পায় নি তার । নমিতার মার মাথার সন্ত্রণ। সারিডন খেতেখেতেই কমে গেছে । বাবার অবস্থা একই রকম । একটু খারাপ হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল । নমিতার সঙ্গে কথা বলতে-বলতেই খারাপ ৬ বট কাটিয়ে উঠেছিল যেন সলিল মুখুজে । রোজেনবুর্গ এসেছিল । নমিতাৰ মা, মণর চেয়ে নমিতার দিকে ঝোক বেশি ছিল তার, কথাবার্তা মিসেস দশগুপ্তের সঙ্গেই বেশি হয়েছে ; অনেক দূরের থেকে নমিতার চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে বলেছে, চশম| লাগবে আপনার, তবে চশমা না নিলেও হয়, একটা ওষুধ দিচ্ছি আপনাকে । প্রেসক্রিপশন লিখে দিয়ে বলেছে, এই ওষুধটা খাবেন রোজ । এক মাস খেলেই চোখ ঠিক হয়ে ষাবে । নমিতার কাছে এগিয়ে এসে তাকে বিছানার উপর চিত করে শুইয়ে দিয়ে স্টেথিস্কোপ বাগিয়ে সব কিছু পরীক্ষা করে, খুব গম্ভীর মুখে ভাল করে সব দেখে নিয়েছে ডাক্তার ; নমিতার মাই দুটোর কাছে বুকের ফালিটুকুর থেকে শুরু করে নাভি তলপেট আদি সব টিপে ঠেসে ঠুকে দেখেছে রোজেনবুর্গ ; এমন সুড়সুড়ি লেগেছে নমিতার, কেমন ক তুকুতু বোধ করেছে সে, হিহিহি প্লিব গ্লিব, গ্নিবল ক্লিবল ক্লিব ক্লিব, বু বু বু..হেসেছে সে, হেসেছে ডাক্তার ৷ বলেছে, আছে মোটের উপর মন্দ নয়, তবে লিভারে দোষ আগছে, কিডনিটাও খুব ঝরঝরে নয় । একটা প্রেসক্রিপশন লিখে দিয়েছে। তিন মাস সে ওষুধ খেতে হবে ; ՏԳՆ)