পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিগারেট বার করবার, জ্বালিয়ে নেবার কাজে একটু নিমগ্ন হয়ে থাকতে চাইল । কোনো ঘড়ির দিকে না তাকিয়ে নিশীথ বললে, ‘আরো বেশি অন্ধকার হয়ে পড়ছে যেন । বাইরে কি মেঘ ? জানলার ভিতর দিয়ে তাকিয়ে নমিতা বললে, ‘মেঘ নেই।’ ‘নেই ? ‘সাদা মেঘ আছে । ওতে কি অন্ধকার হয় ?” ‘না । কেমন গুমোট । বাইরে মেঘ নেই, ঝড়ের লক্ষণ নেই ? ‘নেই তো । গুমোট কেন ? ফণন চলছে তো !” ‘বলছিলেন না ভোর হচ্ছে, কটা বেজেছে ? 'চারটে বাজতে দশ মিনিট । ঘড়িটা তো আপনার মুখোমুখি দেয়ালে । ‘একটার সময় ঘর অালো হয়েছিল, চণরটের সময় অন্ধকার হল কী করে ? জ্বালি-জুগলি করে সিগারেট না-জুগলিয়ে জিজ্ঞেস করল নিশীথ । ‘চাদ ডুবে গেছে বলে অন্ধকার । ‘এত তাড়াতাড়ি ডুবে গেল ? নিশীথ জ্বালিয়ে নিল সিগারেটটা । ‘আজি তো ডুববার কথাই তাড়াতাড়ি দ্বাদশী চতুর্দশীর চাদ নয় তো । বাতাস ছেড়েছে। অনেক দূরে একট। কালো মেঘ। সপ্তমীর রাত । ঘাড় তুলে নমিতার ডব্লিউ-এ-সি-র পোশাকের উপর চোখ বুলিয়ে নিল নিশীথ । নমিতার চোখের উপর চোখ রেখে বললে, “এই কি এলেন নাকি অণপনি পার্কসার্কাস থেকে ?” ‘আমি দেড়টার সময় এসেছি ।” ‘দেড়টার সময় ? তা হলে এতক্ষণ ঘুমোচ্ছিলেন বুঝি পাশের ঘরে ? কিন্তু এই পোশাকে গরম লাগছিল না ? জুতো পরে ? ই্যা জুতো পরেই ঘুমোই আমি নমিত বললে, মিলিটারি ধড়াচুড়ে। পরেই তো ঘুমোই আমি । না হলে ঘুম হয় না আমার । নমিত কুজোর থেকে জল গড়িয়ে নিল গেলাসে, বরফের এক মুঠে কুচি মিশিয়ে জলের ভরা গেলাসটা হাতে ধরে কোঁচে এসে বসল। ‘জল খাচ্ছেন ? "খাবেন অণপনি ? ՏԵՑ