পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"তার মানে ?” ‘পণয়তাড়া কষছে—’ ‘কেন ?? ‘ঘুম হচ্ছে না, ব্রোমাইড দিয়ে এসেছি । ‘অসুখ ? 'না, এমনিই—বিছানায় একজন না-থাকলে আর-একজনের ঘুম ফেঁসে যায় । কয়েকটা মাস ধরে এই রকমই হচ্ছে । পরের কয়েকটা বছর হবে ।’ খুব অtশ্বাসের সঙ্গে বললে জিতেন দাশগুপ্ত । নিশীথ অগড়চোখে জিতেনের দিকে তাকাল । জিতেন মানুষ খুব স্থির । বলছেও স্থিরতার কথা ; কিন্তু কোনোদিনই মেয়েঘেষা ছিল না সে । আগগুনের মতন মেয়েদের কাছ থেকেও অনায়াসে কেটে পড়ে অনেক দূরে একটা নির্বিকার গাছের মত আকাশে বাতাসে স্বয়ত্ব হয়ে দাড়িয়ে থাকবার আশ্চর্য সহজশক্তি ছিল। কী বলছে আজ রাতে জিতেন দণশ ? কেমন বসন্ত রাতে ধনেশ পাখির মতন দেখাচ্ছে তার চোখ । মাথা ঘেমে না-উঠলে হেসে ফেলত নিশীথ । ‘হণসছ ? নিশীথ ?’ ওপরে যাও তুমি দাশগুপ্ত । ‘তুমি যাবে না ? ‘আমি ঘুমে ভেঙে পড়ছি, বসতে পারছি না । এ-রকম অবস্থায় ওপরে গিয়ে দাড়ালে সেটা ঠিক হবে না জিতেন । নিশীথ বিছানায় শুয়ে পড়ল । 'এক মাস তোমাদের এখানে আছি । কথাবার্তা হবে । খুব জমবে আলাপ |’ ঘুমের চোখে জিতেনকে বলল । ‘বেশ বেশ । মশারি অণনে নি ?’ ‘না । ’ ‘অবস্থা দেখছি, ওপরের থেকে পাঠিয়ে দিতে পারি কি ন!— ‘না না এত রাতে আণর ওপর-নীচ চলে না ।” ‘আমি সবই চালু করে রেখেছি, ভাই নিশীথ । ‘আমি চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়েছি । মশারির চেয়ে ঢের ভালো । ভারী অণরণম লাগছে । ওপরে যাবার সময় বাতিটা নিভিয়ে দেবে ?’