পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আপনি তো খুব বসে, জিরিয়ে খাচ্ছেন । ছাদে যেতে দেরি করে ফেলছেন নিশীথবাবু। ‘স্কোয়াশ দিয়েছেন দেখছি । কখন খুললেন বোতল ? টের তে। পাই নি । নিশীথ বললে । ‘পনি নি ?—নমিতা নিজের জন্যে এক গেলাস ভরে আনতে-অানতে বললে, কিন্তু তবুও খুলেছি তো । এবারে টের পাচ্ছেন ? নমিতা সোফায় ফিরে এসে বরফ মেশানো ক্রাশড রসের গেলাসটায় একটা চুমুক দিয়ে বললে, ‘আমিও তা হলে তাড়াহুড়ো করে খাব না । ছাদে উঠবার সিড়িটা দেখেন নি বুঝি কোনো দিন ? স্পাইরাল সি ড়ি । স্পাইরাল ? নিশীথের মনে পড়ে গেল এইবারে, "ওঃ’ ! 'চড়েন নি ? সিড়িটা বাইরের দিকে, দtলfনটীর পশ্চিমদিকের দেয়াল ঘেঁসে, সদর দরজা দিয়ে ঢুকবার সময় বড় একটা নজর পড়ে না । গাছপালার অtড়াল থেকে যায়—’ ‘হঁ্য । ও-দিক দিয়ে দিন-রাত চাকর-বাকর ঝাড়ুদার জমাদারদের তো চলাফেরা করতে দেখতাম--- নিশীথ স্কোয়ণশের গেলাসের বরফ নাড়ল খানিকক্ষণ গেলাসটা বঁকিয়ে বাকিয়ে । ‘ওদেরই তো সিড়ি ওটা ' ‘ছাদে ওঠে গিয়ে ? “উঠলে উঠবে । কোথায় যাই অামি আর জিতেন ছাদে ? যাক না ওরা ছাদে—জমাদার, রফিক, হানিফ । নিশীথ সায় দিয়ে বললে, ‘তা নিশ্চয়ই যাবে । কিন্তু গিয়ে বিশেষ ভাল লাগবে না ওদের l' কেন ?" ‘সমাজ-সংসারে ভিত্তি নেই, ছাদে দাড়িয়ে কী সুখ পাবে আর ; কত ক্ষণ পাবে ? ওদের সাংসারিক গাথুনিটাকে শক্ত করে দেওয়া দরকার । জিতেনরা তাই করছে । নিশীথের ভাল মানুষি শ্লেষটা ভাল মনে গ্রহণ করে নমিতা বললে, ‘একটা কিছু করা দরকার অামাদের । সমাজের নীচের দিকে যারা আছে, দিন রাত বেশি ぬbr>