পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নমিতা বললে, ‘আগমণর জন্মণবণর অাগে’ । চোখে-মুখে বিশেষ কোনো ভাব দেখা গেল না নিশীথের ; কিছু হয়েছে বা হয় নি—তা নয় ; যা আগছে তাই যেন রয়েছে সব, সমস্ত প্রস্থানের ভিতরে । ‘মারও হল তাই ।” ‘কেন, রক্ত পরীক্ষা করে ইনজেকশন নেন নি ? মুখার্জি সাহেব তো এত বড় তালেবর লোক । কিন্তু এটা করেন নি কেন ? করেন নি ? আগস্তে-আগস্তে বললে নিশীথ । ‘না, ইনজেকশন নেন নি ; তিনি মনে করেছিলেন কোনোই রোগই র্তীকে খেতে পারে না, তিনিই রোগ খেয়ে ফেলেন । এক-একটা লোকের কেমন ম্যানিয়া থাকে নিশীথবাবু । শত বুদ্ধি-বিবেচনা থাকলেও জীবনের ভিতরে কলি ঢোকবার ছ্যাদাটা ঠিক করে রেখে দেন তারা । কারু সাধ্যি নেই ছ্যাদা বেণজগবে । মাও ইনজেকশন নেন নি । "কেন ?" HHBB BS SBBB BBBB BBBB BSS SBSBB BBBBS BBBBS BBBS BBSBLSS জনকে তো দিয়েছেনই, অtট-দশজনও হতে পারে।’ ভোরের আলোয় মনে হচ্ছিল যেন কোনো নির্মল মেয়েমানুষের মত আত্মস্থ হয়ে নচিকেতার মত, বৃষ্টির মত, পাখির মত, আওয়াজে কথা বলছে নমিত । বাবা-মা কী করেছে সবই জানে, সবই সকলকে বলতে কোনো দ্বিধা নেই তার, বোধ বিচারের এমনই একটা সত্য ও কল্যাণে যেন সে পৌছেছে। “ম র্যাদের খেয়েছেন তারা সেরে যান । রোজই সাপের কামড় খেয়ে বেজির ওষুধ খেতে হয় তাদের । তারা ঠিক আছেন । কিন্তু আমার রক্তে তো জন্ম থেকেই বিষ । কোনো ওষুধ আছে কি না বলতে পারছি না । আমার বাবার জন্যে’—নমিতা বললে । সিগারেটের টিনের লেবেলের উপরকার ক্ষুদে অক্ষরগুলোর দিকে তাকিয়ে দূর থেকে পড়বার চেষ্টা করছিল নিশীথ ; চোখের শক্তি পরীক্ষণ করে দেখছিল । “আণপনার কথা বলেছিলেন আপনার বাবা ?’ ‘কণকে ?’ ‘ডাক্তারকে ' 'না, আমাকেও বলেন নি ; আমি নিজে অনেকদিন পর্যন্ত বুঝতে পারি নি ఏఏ8