পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্যাণ্ডউইচের ছোট একটা টুকরো মুখে নিল নিশীথ । আর খাবে না । ‘ওরা কি শুধু চাদা নিয়েই ছেড়ে দেবে আমাকে ? মাঝে-মাঝে স্ট্রাইকের দরকার হবে ? ‘স্ট্রাইক দাড় করাতে হবে, পরিচালনা করতে হবে । আপনার যদি বেণক থাকে, সেদিকে দিব্যি পারবেন অণপনি ।” নমিতার ওয়াকি পোশাক ও সুস্থ সফলতার দিকে তাকিয়ে নিশীথ বললে, ‘চমৎকার এলেম আছে মিসেস দাশগুপ্ত আপনার ; গড়বার ভাঙবার । কী করবেন ? ভাঙবেন ?’ একটা কিছু করতে হবে নিশীথবাবু । কী যে করব ঠিক পাচ্ছি না । ভাঙবেন বলছেন কেন ? কেন, স্ট্রাইকের দরকার নেই কি কোনোদিকেই একেবারে অণর ? স্ট্রাইক করণ মানেই কি ভাঙা ? যে-ষে জিনিস খারাপ হয়ে গেছে সে গুলো না-ভেঙে ভাল সৃষ্টি করা যাবে কী করে ? সে গুলোকে জুড়ে বসে থাকতে দিলে চলবে কেন ?" ‘পলিটিক্সের আমি কিছু বুঝি না মিসেস দাশগুপ্ত । অথচ আপনি পলিটিক্সের প্রফেসর নিশীথবাবু— ‘আমি ইংরেজির প্রফেসর ।” ‘বেশ তে ইংরেজির, ফিলজফির, কিন্তু আজকালকার দিনে পলিটিক্সের ব্যাপারে অন্ধ হয়ে থাকবার উপায় নেই কারু I' "জিতেন কী বলে ? স্ট্রাইক করতে বলে ?’ ‘সে কেন স্ট্রাইক করতে বলবে ।" "গ্র্যtহাম অ্যাণ্ড গ্রাণহাম তো মস্ত বড় একটা বজ্জগত জায়গা । ওটাকে সব চেয়ে আগে ভেঙে ফেলা দরকার ; যদি স্ট্রাইক করতে চান আপনি । জিতেনের অফিস ছেড়ে দিয়ে স্ট্রাইক করার কোনো অর্থ হয় না— হানিফ একটা টেলিগ্রাম হাতে নিয়ে এসে নমিতাকে দিল । দু জনকেই সেলাম ঠুকে চলে গেল সে । নিশীথ ভাবছিল এই হানিফদের কথা হচ্ছিল ; এ রকম সেলাম ঠুকবার কী দরকার ছিল তার, এ রকম শশব্যস্তভাবে ? কেমন করে ঘাড় বেঁকিয়ে মাথা হেঁট করে চলে যাচ্ছে ; যেন মাটির থেকে ওঠাতেই পারছে না মাথা । কৃষাণ কামিনদের অবস্থা বুঝি হানিফদের চেয়েও খারাপ ? ‘কে করেছে টেলিগ্রাম ? ססS