পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাওয়া যাচ্ছে সেই ইঙ্গিত। এ ইশারা গ্রহণ করে ক্রমেই বিমোহিত হতে থাকবে হয় তো নমিতা, অণইনের মারফৎ নয়, এমনিই, তার সাধ-সাধনার দেশে, চেতনার দেশে তার, বিবাহিত জীবনের জাত, কুলশীল, সব নিয়ম নির্দেশের BBB S BBBBSBBBBBS SBB BB BB BBBS BB BBBB অস্বাচ্ছন্দ্যের ভিতর থেকে এখনই যেন, সেই অনলেণজ্জ্বল লিঙ্গ শরীরের নিজেকে বিমুক্ত করে নেওয়ার পিপাসার । হয় তো এ রকমও হবে না কিছু। জিতেনকে নমিতাকে ঠিক করে বুঝতে পারে নি এখনো নিশীথ । মিষ্টি অপভ্রংশে ভাতার হয়ে ভেঙে পড়তে না চাইলেও, আগদি শব্দের মর্যাদার ভর্তা হয় তো থাকবে জিতেন, স্বামিনী হয়ে থেকে যাবে নমিতা জিতেনের বাড়িতে পরস্পরের মৃত্যু পর্যন্ত । ছক যেদিক দিয়েই ঘেণরণনো যাক না কেন, আণসল কথা হচ্ছে মাসে দেড় হাজার, দু হাজার, আণট শ, ছ শ টাকা অন্তত রোজগার না-থাকলে, একটা ভদ্রলোকের মতন বাড়ি—হোক না ভগড়ণটে — নিজের জন্যে যোগাড় করে উঠতে না-পারলে, নমিতাদের আবহের ভিতর নিজেকে একটি আবিভূতি প্রদীপের মতই মনে হবে যেন নিশীথে র—অশক্ত,"দিনের আমলে জেল্লা থাকলেও এই গণস-বিদ্যুৎ-বিজ্ঞানের যুগে কোনো সঙ্গতি নেই, কোনো ব্যবহার নেই সে জিনিসের অণর । নাঃ, নমিতাদের সঙ্গে বড় জেণর এক মাসের বেশি থাকণ যায় না অণর । এক মাসও না-থাকতে হলেই ভাল । পনের দিন, দশ দিন, সাত দিন পরেও যদি সে নিজের মাথা গেজ বণর মত কোনো একটা অগস্তগনণয় সরে যেতে পারে সেইটেই ভাল হবে । দুটো জিনিসের দরকার এখন অবিলম্বেই ; একটা ফ্ল্যাট, একটা রুম কি বা অণধখানা রুম হলেও হয় ; একটা চাকরি কিংবা রোজগারের যে-কোনো একটা উপায় বের করে নেওয়া, আর এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে । বণইশ-তেইশ বছর জলপাইহণটি কলেজে কাজ করেছে নিশীথ ; তার আগে দু-তিন বছর কলকাতায় একটা কলেজে কাজ করেছিল, স্কুলে মাস্টারি করেছে । এখন যখন পেনশন নেওয়ার সময় এসেছে জীবনে, হার্ট খারাপ হয়ে গেছে, রক্তের চাপ বেড়ে গেছে তখন নিশীথকে খালি হাতেই কাজ ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে, ও-কাজে পেনশন নেই, ও-অনটনের কাজে সংসারের টাল こob。