পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গিয়েছিলুম, ওয়েস্ট পাঞ্জাবে গিয়েছিলুম— ‘কবে ? ‘এই তো, তখনো দাঙ্গা চলছে, দাঙ্গা তো এখনো চলছে । একজন সাহেবের সঙ্গে গিয়েছিলুম। একজন আমেরিকান জার্নালিস্টও সঙ্গে ছিলেন । তিনি মহিলা ; বছর চব্বিশ পঁচিশ বয়স হবে, এঃ, রাস্তায় দাড়িয়ে-দাড়িয়ে পা ধরে গেছে—’ দু-চারটে লাথি মেরে নিল রবি মজুমদার, হাত দুটো কোমরে ছিল, তুলে নিয়ে দু-দিকের দাবনার দিকে চালিয়ে চেপে মালিশ করে নিল । ‘চলুন না এ-চায়ের দোকানটায় গিয়ে বসি— নিশীথ বললে । ‘না । এ সব রাস্তার—কী নাম এটার –রাসবিহারী এভেনু্য—না, এ সব পাড়ার চায়ে-টায়ে ঢুকি না আমি । মাঝে-মাঝে ফাপোতে গিয়ে খাই । মন্দ নয় গ্রেট ইস্টার্ন, গ্র্যাণ্ড হোটেল—আসুন আমার গাড়িতে । ‘কোথণয় ? ‘এই যে মিনার্ভা কণর—রাস্তায় পার্ক করে রেখেছি । এই যে এই ! আপনার দাবনার কাছে ; ও দিকে তাকাচ্ছেন কেন নিশীথবাবু ? ‘ওঃ, এই তো ।” ‘এই তো ? তাই তো । এত বড় মিনার্ড গাড়ি অণপনার চোখেই পড়ল না যেন মশা খুঁজছিলেন আঁকু-পাকু করে ? দেখতে পেয়েছেন মশাট ? ফিকে নীল রঙের অণশচর্য গাড়ি-দণনবটণর ঝঝ"রে শরীরটার দিকে এবং তার চেয়েও বেশি তার কেমন একটা অটল মহানুভব তাকে অনুভব করে নিয়ে নিশীথ বললে, “এই গাড়িটা তো এতক্ষণ এখানে ছিল না মজুমদার সাহেব । ‘সেই জন্যই তো ফুটপাথে দাড়িয়ে পাপক্ষয় করছিলুম। এই তো এল । গাড়িটাকে একটু হাওয়া খেতে পাঠিয়েছিলুম। আসুন । ‘কোথায় যাচ্ছেন আপনি ? "আমি গ্রাণগু হোটেলে উঠেছি—' ‘সেখানে যাবেন এখন ? না । এ পাড়ায় একটু কাজ আছে । কি হে হরিদাস, দেখা হল মেমসাহেবের সঙ্গে ?—ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করল রবিশঙ্কর । ‘না হুজুর । এখনো ঘুমের থেকে ওঠেন নি । ২১৬