পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিছানায় নিয়ে বাকিটা রাত তার সঙ্গেই কাটিয়ে দিলুম– ' ‘সে তো বেহুলাংশ হয়ে ছিল—” কিন্তু সদরে খিড়কিতে কোথাও কুলুপ মেরে যায় নি তো ' “কিন্তু মনের যোগাযোগ না থাকলে ওতে কী লাভ ?’ "যে মদ খেয়ে অণচ্ছন্ন হয়ে পড়ে আগছে, তার মন তো গোসাইকে সাক্ষী রেখে গুরুভাইয়ের ভোগে লণগণবণর জন্যেই এমন চাপদণনির মালপো হয়ে আছে । না হলে এমন গ্যাজ হয়ে পড়ে থাকে ? এটা করি, ওটা করি, সেটা করি, যেন ব্ৰহ্মত্ববোধ স্তরের থেকে স্তরে উঠে যাচ্ছে মরিনের । অণঃ, সে কী ব্রহ্মস্বাদ নিশীথ ! সারণটা রণত । আমি দেখেছি ব্রহ্মণকে, আমি চিনেছি। — কেমন যেন একটা দ্রিমি দ্রিমিকি হুঙ্কারে বলে উঠল রবিশঙ্কর । পাইপ টানতে গোল BS BBB S BBBBS BB BBBBB BB BBS S BBS BBS BBBB BBS কেমন একটা যোগনিদ্রায় যেন নিবিষ্ট নিস্তব্ধ হয়ে রয়েছে তার মন—মনে হল, রবিশঙ্কর অনুভব করছে যেন । রবিশঙ্করকে দেখে নিশীথ কী ভাবছিল বুঝতে পার। গেল না,—‘মরিন কি ‘মিলফোর্ডের মত ? 'না, মিলফোর্ড আলাদা ।” ‘কী হল তারপর মিলফোর্ডের ?’, ‘হয় নি এখনো । হবে । খোদ ডেলিভারির আগে মেল ডেলিভারি চলছে নিশীথ । রোজ চিঠি পাচ্ছি।’ ‘কোথায় অাছে এখন সে ? "করাচিতে । পাকিস্তান স্টেট কী রকম তল দেখছে, শুনছে, ঘুরছে । আমেরিকায় কতকগুলো পেপারের করেসপণ্ডেণ্ট সে করাচি পাঞ্জাব হয়ে সমস্ত পশ্চিম পাকিস্তানটা লেইড মেরে ঘুরে দেখবে । তারপর দিল্লি ফিরবে, কলকাতায় আসবে, মাদ্রাজে যাবে বড় বৃষ্টির সময়, আমি তখন মাদ্রাজে থাকব, রবিশঙ্কর বললে, “ভার্জিনিয়াকে নিয়ে পারা যাচ্ছে না । দেখছেন তো, শুনলেন তো, কেমন পরিজের কারবার করে ।” মজুমদার নিজেও কম যান না, নিশীথ চুলের ভিতর দিয়ে আঙুল চালাতেচালাতে বললে । একটা সিগারেট জ্বালিয়ে নিয়ে, রবিশঙ্কর বললে—‘ও আমার ব্রহ্মত্ববোধের २२8