পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুঝতে পারা গেল না। রবিশঙ্করকে সোজাসুজি জিজ্ঞেস করতে গেল না নিশীথ । ইউরোপ-আমেরিক বেজায় কেমন একটা দুর্দশন্ত তেজস্ক্রিয় মশালের ভিতরে, ঘুরে অতিশ্ৰান্ত শলভের মাংসে উজ্জ্বল এই অদ্ভুত অগ্নিসভ্যতার থেকে ছিটকে পড়তে চাচ্ছে । কিন্তু তবুও তাদের ভিতরে অনেকে একটা কিছু চাচ্ছে তারা, একটা স্থিতি ভিত্তি ও চাচ্ছে যা মৃত্যু নয়, জীবন । উঠতির মুখে বিজ্ঞান যে-সব বড়-বড় অাশা দিয়েছিল প্রায় সবই আজ ধূলিসাৎ ৷ আমেরিকায় ইউরোপে যারা দিনরাত লোকায়ত চক্রে উড়ে বেড়াতে না ভালবেসে একটু সুস্থিরত চায়, লোকায়তেরই গভীর তর ব্যাপ্ত আস্বাদ চায়, তারা গীতার ভিতর, কেমন একটা স্নিগ্ধ সুপরিসর নিশ্চয়তা উপলব্ধি করে । আস্তে-আগস্তে বলছিল নিশীথ, নিজের মুখের ভাষাবৈ গুণ নিজের কানে বধিছিল তার, ধাতাই বুলি ব্যবহার করে মনটা খারাপ লাগছিল । ‘মিলফোর্ড এই নিশ্চ তা চণয় ? ‘সে কী চায় আমি জানি না । দেখি নি তো তাকে । তবে তাদের দেশের কেউ-কেউ এ রকম ঝুকে পড়ছে গীতা, চীন সভ্যতা, তিব্বতে নিসর্গ ও মানুষ, আমাদের দেশের পটের ছবি এই সব ন না রকম জিনিসের দিকে ।” "এ-সবের কিছুই আমাকে টানে a তে। ' ‘টানে না ? ‘কা অাছে কণ লীঘাটের পটে ? "সেটা ভাল করে উপলব্ধি করে দেখতে হয় । চোখ উলেট দে থলে চলবে না তো ' ও অামি ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি । পটের মা দিদিম| সকলেরই যেন দশমাস চলছে। ডুলি ঢাল বাদর–হোক না পুরুষ—সকলেরই যেন পেট হয়েছে—দশমাসি পেট । অবশ্বি ভুড়ির অশ্লীলতাকে স্নিগ্ধ করেছে পেট, রেখার নমনীয়তা আছে, খু টে-খুটে দেখতে গেলে কটমটায় না কিছু ! কি ও কেমন একটা যেন নির্দোষ জলপ্রদ মঙ্গল উদরি রোগে ভুগছে পটের ছবিগুলো । কী হিসেবে এ গুলো আমেরিকানদের পেটেণয়া ? কথাটা কি সত্যি ? মিলফোর্ড পটের কথা বলে নি, চীনাদের কথা না, লামাদের কথাও না । গীত:র একটা ভাল সংস্করণ বেছে নিতে হবে । জানাটানা আগছে ? २२3