পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লিখল যে প্রফেসর ঘোষের সঙ্গে দেখা করতে চাই । কী লিখবে অণর ? লিখল যে, সে জন্য বেলগাছিয়া থেকে এসেছে বালিগঞ্জ আবিদ । ব্যাস । ছেলেটির হাতে স্লিপ তুলে দিয়ে নিশীথ জিজ্ঞেস করল, কী নাম আপনার ? *আমার নাম রিপেন । ”

  • রিপেন ?
  • ই্যা, রিপেন।” রিপেন, নিশীথ দু-এক মুহূর্ত মাথা খুঁড়ে ভেবে নিয়ে রিপেন, রাপেন, ঋপেন, কোনো কিছুর ভিতরেই কুলকিনারা না পেয়ে হয় তো রিপন ছেলেটির নাম, কিংবা রিপু+ইন্দ্র=রিপেন্দ্ৰ—রিপেন ছেলেটির নাম—রিপেন—রিপেন— রিপেনের থেকে রিপেন হয়েছে—রিপেন—রিপেন ভেবে খানিকটা নিস্তার

বোধ করতে লাগলে । ‘রিপেন অণপনার নাম ?’ “অপমার নাম রিপোন ।” ছেলেটি স্লিপ পড়ে নিশীথকে বললে, ‘প্রফেসর সাহেবের সঙ্গে কেন দেখা করতে এসেছেন তা তো লেখেন নি অণপনি, আমাকে বলেছিলেন হাটখোলার থেকে এসেছেন, কিন্তু এখানে তো লিখেছেন বেলগাছিয়ার কথা । ‘হাটখোলার থেকেই এসেছি আমি, বেলগাছিয়ায় আমি থাকি । রিপেন নিশীথের দিকে আড়চোখে একটু খটকীয় বেধে তাকিয়ে থেকে বললে, "কী দরকারটা মাপনার লিখলেন না , ঘোষ সাহেব বড়-বড় প্রফেসর, অ্যাসেম্বলি মেম্বার, খানদানি অফিসার, মিনিস্টার ছাড়া কারুরই সঙ্গে দেখা করেন না আজকাল । বডড ব্যস্ত কাজ নিয়ে—’ ‘কী কাজ ?’ ‘কী কণজ তা আমি কী করে বলব ; অনেক বই ঘাটছেন, পড়ছেন লিখছেন । লিখছেন—’ ‘ও-সব তো বরাবরই লেগে আছে । ‘না বরাবর নয় । এক নাগাড়ে লিখছেন । আগে তো পড়তেন শুধু ; কোথায় লিখতেন ?’ ‘বই লিখছেন ? 'না, শিক্ষা সম্বন্ধে কী একটা পরিকল্পনা লিখে দিতে হচ্ছে, চেয়েছে গভর্নমেণ্ট ২৩৮