কিন্তু তবুও বলে যাই কথাটা । নিশীথ উপরে চলে গেল । ‘কাকে খুঁজছেন আপনি ? প্রফেসরের স্ত্রী মোহিতা জিজ্ঞেস করল নিশীথকে । ‘আমার নাম নিশীথ সেন । প্রফেসর ঘোষ কি বাড়িতে আছেন ? “আণছেন ।’ ‘দেখা হতে পারে তার সঙ্গে ?’ ‘কোথেকে এসেছেন অণপনি ? 'বেলগাছিয়া থেকে ।’ ও, বহু দূর থেকে । উনি একটু ব্যস্ত আছেন আজ। মোহিতা নিশীথকে তার নৈতিক কর্তব্য বুঝে উঠবার জন্য বললে, বেশ লাগসই কমনীয়ভাবে । ‘তা হলে—নিশীথ নিজের কামানে দাড়ির গালে একটু হাত বুলিয়ে নিয়ে বললে, “তা হলে উঠতে হয় আমাকে মিস ঘোষ । মোহিতা নিশীথের ভেতর দিয়ে দেয়ালের ভেতর দিয়ে চোখ চালিয়ে একটু হেসে উঠে বললে, “কী ভেবেছেন আগমণকে আপনি ও মা আমি কেন তা হব ?’ নিশীথ মনের ভুলে নয়, মনের কী এক আকস্মিক সমুচ্চারণে কী বলে ফেলেছিল সেটা যে মোহিত কানে তুলবে তা সে মনে করে নি। সে ভেবেছিল মিস ঘোষ সে বলবে বটে, কিন্তু উনি তা শুনেও শুনবেন না । ঘোষ সাহেবের সঙ্গে দেখা হবে না এই বলেই গা-ছাড়া নমস্কার জানিয়ে চলে যাবে । কিন্তু তা তো হল না । মোহিত শুনে স্বীকার করলেন যে শুনেছেন । নিশীথ একটু তামাশা বোধ করে দাড়িয়ে, মোহিতার দিকে নয়—দেওয়ালের কয়েকটি দেশীবিদেশী ছবি, ঘোষ পরিবারের দু-একটি ( খুব সম্ভব পরলোকগত ) পুরুষ মহিলার ব্রোমাইড এনলার্জমেণ্ট, দেখছিল । ‘বসুন আপনি । ‘না । চলি । বেলগাছিয়া যেতে হবে।’ ‘বসুন । ওর সঙ্গে দেখা হবে আপনার । ‘উনি খুব ব্যস্ত আছেন বললেন । “ব্যস্ত আছেন । কাজের চাপ বেশি। লিখছেন হয় তো । ‘কলেজের নোট ? ין וה* २8२
পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২৫২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।