পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“নিশীথ বললে, “আমি সেকেণ্ড ক্লাশ এম-এ—’ প্রফেসর উঠবার উপক্রম করে বললেন, ‘কলেজে কাজ করতে গেলে তো আমাদের ইউনিভার্সিটির ফাস্ট"ব্লাস ডিগ্রি থাকা চাই-ই, তা ছাড়া—” মোহিত বাধা দিয়ে প্রফেসরের কথা কেটে ফেলবার চেষ্টা করে বললে, ‘কোন ক্লাস পেয়েছে তা দিয়ে টিচারের গুণ যাচাই করবণর মত মনের টিলেমি তোমার নিশ্চয়ই নেই ।” বাধা দিয়ে প্রফেসর বললেন, ‘আছে ।” "অপছে ??

  • ই্যা, অাছে।’ মোহিত বিক্ষুব্ধ হয়ে বললে, "নিশীথবাবুর পঁচিশ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে

কলেজে কাজ করবণর—” প্রফেসর মোহিতার কথা শেষ না-করতে দিয়েই বললেন, ‘বেশ ভাল জিনিস, কিন্তু ফাস্ট ক্লাস পেলে অগরে ভাল হত । "এ কেমন কথা হল ? এ কথা আগমণদের কোন দিকে নিয়ে যায় ? ‘ফাস্ট ক্লাশ ডিগ্রি থাকলেই ঠিক হত্য, প্রফেসর বললেন, ‘শুধু পঁচিশ বছরের অভিজ্ঞতা অণম{দের বিশেষ কোনো দিকে নিয়ে যায় না ।” কী মূলা আছে এ সব ইউনিভার্সিটির ফাস্ট ক্লাসের ? মোহিত যেন সিংহের উপর লাফিয়ে দাড়িয়ে বললে, যেন মহিষাসুর এ সব ইউনিভার্সিটির ফাস্ট ক্লাশ ডিগ্রিগুলো । প্রফেসর হেসে বললেন, নেই ? সেকেণ্ড ক্লাসের বুঝি বেশি জেল্লা ?’ ‘মূল্যের কোনো যাচাই হয় না আমাদের দেশে । প্রফেসর গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘আগমণর ভিতরে কাজ আগছে ।’ নিশীথবাবুকে তে তুমি কোনো কথা দিলে না।’ ‘নিশীথবাবু আর-একটা এম-এ দিন । ইংরেজির টিচার, ইল, তবে ই পেঞ্জিতেই দিন । একটা ফাস্টfক্লাশ জোগাড করুন, ফাস্ট” না হলেও হবে ।’ প্রফেসর কারুর দিকে না-তাকিয়ে নিজেরই জ্ঞান-শালীনতার হিম্মতে তৈরি বাড়ির বিচিত্র গালচে গুলোর দিকে, মেঝের ভিত্তিরেখাগুলোর স্বৰ্গীয় জ্যামিতির দিকে, তাকণতে-তাকাতে বললেন । Հ&ծ