পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রফেসর মাথা নেড়ে বললেন, ‘না, নয়ন দত্তকে ফাস্ট বলতে পারা যায় না, যে ফাস্ট", সে মরে গেলেও সেই তো ফাস্ট হয়েছিল । নয়ন দত্ত সেকেণ্ড । নয়ন দত্ত যদি ফাস্ট হতে চায়, তা-হলে আবার এম-এ দেবার দরকার তার ।” মোহিতা নিঃসহায়ভাবে হাসতে-হাসতে বললে, “মানুষ এইই করবে বসে-বসে ? কেবল এম-এই দেবে ।” প্রফেসর কারু কথা কানে না তুলে, কিছুই গায়ে না মেখে, কারুর দিকে না তাকিয়ে, চোখ দুটো সিলিঙের দিকে তুলে গম্ভীরতাবে, আস্তে-আস্তে বললেন, ‘নয়ন দত্ত ইংরেজিতে ফাস্ট ক্লাশ । কিন্তু ইংরেজির গুরুত্ব কমে যাচ্ছে । কয়েক বছরের মধ্যে ইংরেজির অরি-কোনো টিচারের দরকার হবে না কলেজে । কলেজে কাজ করতে হলে নয়ন দত্ত ইকনমিক্সে কি বা বাংলায় ফাস্ট ক্লাশ ফাস্ট হয়ে নিক । ‘তা হবে নয়ন দত্তর, মোহিত। বললে, কিন্তু ইংরেজি নাকচ হতে এখনো দেরি আছে, নয়ন দত্তকে কলকাতার কলেজে একটা ভাল কাজ দণও তুমি ।’ ‘নয়ন দত্ত ক বছর কাজ করেছে নিশীথবাবুদের কলেজে ? ‘একুশ বছর।’ "এতদিন পড়েছিল কেন ও-রকম একটা কলেজে ? ‘মফস্বলে শান্তি সুস্থিরতা আছে । ভাল মনে হয়েছিল সেটা । ‘কলকাতায় আসতে চাচ্ছে কেন ?? ‘মফস্বলে উন্নতি হচ্ছে না । জীবন বডড থেtড় বড়ি খাড়া হয়ে পড়েছে । কলকাতায় নানা রকম সম্ভাবনা আছে । বড়-বড় লাইব্রেরি, স্টাডি সার্কেল, সভা-সমিতি আছে—জীবনটাকে জ্ঞান, সংকল্প, সামাজিকতার দিক দিয়ে—’ বাধা দিয়ে প্রফেসর বললেন, ‘ভাইস চ্যান্সেলারকে গিয়ে ধরুক । ‘কে ?’ ‘নয়ন দত্ত ।” “কিসের জন্য ? কলকাতার কোনো কলেজে কাজ ঠিক করে নেবার জন্য । আমি তো ভাইস চ্যান্সেলার নই।’ বেশ তো নয়ন দত্ত, যাবে নয়ন দত্ত ভাইস চ্যান্সেলারের কাছে, তুমি নিশীথ २७S