পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনি কি সেকেণ্ড ক্লাশ ? প্রফেসর ঘোষ সেকেণ্ড ক্লাশ ; জড়বুদ্ধির মত নিশীথ মোহিতাকে জিজ্ঞেস করল । ‘আপনার তো একসঙ্গে পড়েছিলেন ; জানেন না ? উনি আমাদের সঙ্গে এম এ পরীক্ষা দেন নি। সেবার কী অসুবিধা হয়েছিল । তৈরি করে উঠতে পারেন নি। আমাদের পরের বার, নাকি তার পরেব বার দিয়েছিলেন । আমি তখন কলকাতা ছেড়ে চলে গেছি । তার পর থেকে ইউনিভার্সিটির কোনো খোঁজখবর রাখি নি আমি । সেকেণ্ড ক্লাশ । আচ্ছা উঠি মোহিত দেবী, দুপুর হয়ে গেছে । বেঁচে থাকলে আবার আসব । যারা নীচে পডে আছে, ঠিক সময় ঠিক কাজ করতে পারে নি, দেরি করে ফেলেছে, সময়ের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে নি, তারা কুড়ি-পঁচিশ বছর পরে আজ একটা অদ্ভুত পৃথিবীতে পাক খাচ্ছে। ‘সে পৃথিবীটাকে কি ভাল করতে হবে ? নিশীথ একটু চমকিত হয়ে মিসেস ঘোষের দিকে তাকাল । এ রকম কথা উনি জিজ্ঞেস করছেন মনের বি লাসিতায় নয়, স্বাভাবিকতায় । মোহিতা দেবীর চোখ, মূখ, গলার অrওTrজ অনুভব করছিল নিশীথ। মোহিতাকে ঘোষ হয় তো বলবেন প্যাথলজির কেস । কিন্তু তা নয় । তা নয় । পাণথলজির কেস ঘোষ নিজেই হয় তো । কিন্তু নির্মল রাষ্ট্রসমাজের দিকে চোখ রেখে শুদ্ধ মন নিয়ে কোথায় সে বিজ্ঞানী, ঘোষ সাহেবদের যে পরীক্ষা করে দেখবে । দেখলে হত । খেণষ ঘোষই থেকে যাবে হয় তো, শিক্ষাদীক্ষ। কলেজ-ইউনিভার্সিটির শীর্ষে বসে থেকে । কিন্তু শীর্ষে বসে থাকবার জোর কমে যাবে ভবিষ্যৎ ঘোষদের । জোর বেড়ে যাবে ভবিষ্ণং নিশীথ সেনদের । ক্ৰমে-ক্রমে রাষ্ট্রের গ্লানি কেটে যেতে থাকবে উত্তরোত্তর এই পরিচ্ছন্নতার পথে চলে ; সত্যিই প্রাণঘন হয়ে উঠবে সেীবন । ‘পৃথিবীটাকে ভাল করা কঠিন । সময় সাপেক্ষ । পাচ, সাত, এক হাজার বছর তো লাগবেই । তারপর কী হবে বলতে পারা যায় না । অামার ছেলে হগরীত তো বিপ্লবের চেষ্টা করছে।’ “কত বড় ছেলে আপনার ?’ “উনত্রিশ-ত্রিশ হবে ।’ ‘কী কাজ করছে ?’ ২৬৩