পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুতুল বলে । আহা, চুলে টান মারছ কেন ? আঃ ললিতা ' ‘মফস্বলের কোন কলেজের ? আছে এক কলেজের । পদ্মার পারে । পাকিস্তানে । তুমি দেখেছ কোনোদন পাকিস্তান ? ‘আমি কী করে দেখব পাকিস্তান কুলদা ? আমি ঘুঘুডাঙ্গা পেরিয়ে গেলুম না কোনোদিন । আমার খুব ইচ্ছে করছে, আমাকে নিয়ে যাবে পাকিস্তানে ? এই বি মিয়ে পড়েছে—এই কুলদ । ‘কুলদার কানের ওপর একটা মিঠে ঘুষি মেরে ললিত বললে, "চুল বিলি কাটছি আর ঘুমিয়ে পড়ছে, এই কালনাগ । বেহুলার ঘরে ঢুকে— ‘আমাকে তুধরাজ বলে। ললিতা । ‘এই ধরাজ ! বেহুলার ঘরে ঢুকে— নিশীথ বললে, “আপনি ঘুঘুডগঙ্গার বাইরে কোনোদিন যান নি ? ‘আমি কেস্টনগরের মেয়ে, কলকাতায় আছি অণজ বিশ বছর ধরে । কোথাও যাব না অামি কলকাতা ছেডে ।’ “পাকিস্তানে যাবে ললিতা ?’ ‘তুমি নিগে গবে ? নিশীথ বাবু নিয়ে থাবেন । পদ্ম, মে না, ব্রহ্মপুত্র, চা ও তো ভোগবতী, ঘুরিয়ে আনবেন । ঝুলে পড নিশীথবাবুর সঙ্গে ’ কুলদা ঘাড হেঁট করে মাথার চুল সব ছেডে দিয়েছিল “ললিতার হতে, 'মাথাটাকে ফিঙের ঠাণং ঝিঙের ক্ষেত করে ফেলেছে ললিতা ।” ধীরে-ধীরে মাথা তুলে খোয়ারি ভাঙার মত চারদিকে তাকাতে লাগল কুলদা । চার-পাচদিন কলেজ ছুটি ; এর পর গরমের ছুটি এসে পডবে । কেমন যেন ছুটির, টিলেমির, সোহাগের রেশ কোকেনের মত কঁকিয়ে-ঝিমিয়ে কথা বলতে চাচ্ছে কুলদার শরীরে ও তার রক্তের কণিকাগুলোতে । ‘এই দুধরাজ ।’ আর-একটা ফিনফিনে ঘুষির ফিনকি ভাইস-প্রিন্সিপ্যালের কগনের উপর গিয়ে পডল । একেবারে ভিরমি খেয়ে পড়বার গতিক হতে-হতে সতিই ভিরমি খেয়ে পড়ল যেন কুলদা, গণজাখোরের মত চোখ লাল করে, গোল করে, নক্সা করে নিশীথের দিকে ঠিকরে মারতে-মারতে । “যাও প্যান ন্যোসো ন্যে সে ললিতা’ বললে কুলদা শরীরটাকে একটু ছাউ ՏԳ Տ