পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাচ নাচিয়ে, বর্ষাকালের মিষ্টি কুমড়ে ক্ষেতের চিংড়ির চোখ মেরে ললিতার দিকে । 'ন আমি পান আনিব না, তুমি বলে পাকিস্তানে নিয়ে যাবে আমাকে । "নিয়ে যাব ? ‘কবে ?’ ‘কলেজ ছুটি হলেই ।” "নিশীথবাবু আমাদের পথ দেখিয়ে দেবেন তো ? সন্তাহার পেরিয়ে গেছ কোনোদিন ও লাইনে ?” ‘সন্তাহার নয়, বনর্গ দিয়ে, নাকি নিশীথবাবু ? এ লাইনে বনগর পরই তো পাকিস্তান অরম্ভ হল ?’

  • ই্য । বনগা লাইনে না গিয়ে—’ না। আমরা বনগা লাইন দিয়ে যাব’ কুলদার চুলের ভিতর হাত ঢুকিয়ে কেমন যেন হঠাৎ হাওয়ার ঘর্ষণে বশিপাতার তরঙ্গ তুলে ললিত। বললে, "নিশীথবাবু আমাদের পথ দেখবেন । তুমি আমাকে ভোগবতী

দেখাবে ? ঠিক আছে, কুলদা বললে, ‘পান দেবে না ? “দিচ্ছি।” ‘কটা পাক চুল হল ললিতা ?’ ‘একটাও না, তোমার মাথার সব পাকা চুল কেঁচে আমার মাথায় যাচ্ছে— পাকা চুল নেই তোমার মাথায় নিশীথ ?’ কুলদ। জিজ্ঞেস করল । ‘এই তো রয়েছে রগের ধারে কয়েকটা—’ ললিতা কুলদার চুল বাছতে-বাছতে বললে, ‘পান এনে দেব, কিন্তু সেই রকম করে বল তো সেই—’ ‘ষ্যাও, প্যান ন্যাসো, পান ন্যাসো ললিতা', কুলদা বাঙবাজির মত গলাটাকে বাজিয়ে নিয়ে বললে । খুব মজা লাগছিল বটে নিশীথের । রাজা-রাজড়াদের তাকিয়া তাউসে গড়িয়ে একটু বেসামাল হয়ে আছে যেন, কলেজের গভর্নিং বডির জাস্টিস তরফদারের মোটরের হর্ন গেটের কাছে বেজে উঠলেই বেশ ঝেড়ে ঝঝ"রে হয়ে যাবে কুলদা ; ঝেড়ে ঝঝরে হয়ে উঠে দাড়াবে । লোকটার সর্বাঙ্গের দিকে তাকালেই বোঝা যায় সেটা—বেশ স্পষ্ট বুঝতে २१२