পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারা যায়, কিছু না, মাস্টারমশাই ছুটির দিনে একটু ঘোড়া-ঘোড়া খেলছেন । ‘তুমি কেন প্রিন্সিপ্যাল হলে না কুলদা ? ললিতা বললে । ‘আমি প্রিন্সিপ্যাল হলে কী হবে তোমার ?’ ‘তোমার কলেজে পড়ব অগমি ।’ “আণমার কলেজে মেয়েরা পড়ে না ।” ‘কেন, যে-কলেজে মেয়েরা পড়ে’, একরাশ রোদে বাতাসে ফুলন্ত শেফালির ডণটের মত ঝরে বণাকুনি খেয়ে ললিতা বললে, ‘কেন সে কলেজের প্রিন্সিপ্যাল হলে না তুমি ।’ ‘সে কলেজের প্রিন্সিপ্যপল তো হয়েইছি ।” ‘কোথণয় ?” ‘আগমণর বাড়িতে ।’ ‘এই দুধরাজ, কুলদার থুতনির ওপর, গালের ওপর, টোপাকুলের মত ছিটকে পড়তে লাগল ঘুষি, ঘুষির পর ঘুষি । ললিতা সণ করে বেরিয়ে গেল ঘর থেকে । ‘কে এই মেয়েটি ?’ জিজ্ঞেস করল নিশীথ । টিন থেকে সিগারেট বার করে নিয়ে ভাইস প্রিন্সিপ্যাল বললেন, “আমার বিধবা শালি ললিতা ।” ‘তোমার এখানেই থাকে ?” ‘ईT ।’ ‘কবে বিধবা হল ?’ ‘বছর তিনেক হয়েছে ।” ‘খুব যে কচি মনে হচ্ছে । ‘আগমণর চেয়ে অণটণশ বছরের ছোট ললিতা”।’ ‘তোমাকে কুলদণ ডাকে কেন ? নাম ধরে ডাকে ? ঠিকই ডাকে, কুলে-দাদা ডাকত আগে, তার থেকেই কুলদণ হয়েছে।’ ঠিকই হয়েছে । দাদা ডাকে কি ঠাকুর্দা সম্বন্ধে ? নাতনির মত ব্যবহার করল তো তোমার সঙ্গে’— কুলদা একটা সিগারেট বার করে জালিয়ে নিয়ে বললে, ‘মফস্বল কলেজে থেকে সব কিছু একেবারে গোগ্রাসে গিলে রেখেছ নিশীথ । তোমার কি শালি-টালি ২৭৩ ՏԵ