পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নেই ? কী করে কাটে তা হলে ছুটির দুপুর ? শীত রাত কাটে কী করে ? মাথার চুলের অপর্যাপ্ত এলোমেলো কাল স্বাস্থ্য নিয়ে নিশীথের দিকে তাকাল কুলদা । ‘বিধবা শালি নেই ।” 'সথবা ?’

  • নেই ।”

‘কে আছে তা হলে ?’ নিশীথ আস্তে টান দিয়ে সিগারেটটা নামিয়ে এনে বললে, ‘মফস্বলে প্রফেসরদের আগর-এক রকম । মেয়েদের দিকে ঘেঁষতে পারে না । যারা ঘেঁষে তাদের বদনাম হয় । সিনেমা-থিয়েটার বেশি দেখা যায় না।’ এ সব দিক দিয়ে খুব লাট মাহিন্দারি তা হলে তোমার । ‘আছে বলেই তো মনে হয় ।” ‘বেশ চুটিয়ে পড়াও ক্লাসে ? ‘সেটা হয় না । দম রেখে পড়াই ।” ‘নিজে টের পাও না কিছু, কেমন পড়াচ্ছ ? কুলদাপ্রসাদ ঘাড় কাত করে কিছু ক্ষণ টেনে—এইবারে নাক-মুখ দিয়ে ধোয়। ছাড়তে-ছাড়তে বললে, মফস্বলে মাস্টারকে চব্বিশ ঘণ্টা মাস্টারই থাকতে হয়। ঐটে বড় অসুবিধে । পেট ফুলে মরে যেতে হত আমার । কলকাতা একটা মহাদেশ, কোনো ঘুপসি ঘাপটিতে কে কী করছে, কে খোজ রাখে তার । নগঃ, মফস্বলে আমার চলত না । সগড়ে পাচশ টাকায় সেধেছিল আগমণকে—’ ‘কোথায় ?” ‘একটা প্রিন্সিপ্যালের কাজ নিয়ে সেধেছিল—কোয়ার্টার্স দেবে—হ্যান করবে ত্যান করবে—, গেলুম না আমি । কলকাতা ছেড়ে কে যায় ? চব্বিশ ঘণ্টা মাস্টার সেজে টঙে চড়ে বসে থাকব ? পাহারা দিতে হবে বুঝি কে কোথায় বজাতি করছে তাকে শায়েস্তা করবণর জন্যে ? ঘি খেলে লোম পড়ে যাবে বুঝি ? রেড়ির তেল খেতে হবে, কিন্তু ভদর-অভদর দু-চারটে রাড়ি থাকবে না ? ‘রাড়ি 7' ‘এখানে সে সব বালাই নেই গো ; দিনের বেলা কলকাতার উত্তর দিকে জয়হিন্দ বলে ধর্মতলার ম্যাজিনো লাইন পেরিয়ে—ব্যস—কে টের পাবে ՀԳՑ