পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘কটা খাতার ভেতর ? 'চারটে দেখেছি। ভুল শুধরে দেব ? ‘তুমি একটা দাগ দিয়ে রাখো, আমি দেখব গিয়ে । “আমাকে বিশ্বাস হয় না ? “কিন্তু ইউনিভার্সিটির খাতায় তুমি আঁক কাটবে ? পাকিস্তান ইণ্ডিয়ান ইউনিয়নের থেকে ফঁাক হয়ে কুমড়োর মত গড়িয়ে পড়েছে, সেটা বনগা গেলে টের পাওয়া যাবে ? চলে আজই যাই, দুটো ফালি দু দিকে কেমন গড়াচ্ছে দেখে আসি, ললিত কুলদার থেকে খানিকটা দূরে দেয়ালে ঠেস দিয়ে দাড়িয়ে থেকে বললে । ‘গড়াচ্ছে তো আমাদের মনে-মনে । কোথাও কিছু দেখবার নেই ললিতা ।” একটা পান মুখে দিয়ে ললিতা বললে, ‘তা ঠিক । পৃথিবীর বুকে কোনো চিড় নেই। আমি চললুম।" "uকাথায় যাচ্ছ ? “তোমীর খণতীর নম্বর গুনতে 1’ ‘ই। বেশ যোগ বসাতে পার তুমি ললিতা— ‘যোগবল অাছে আমার তা হলে—শিবকে পটিয়ে নেবার মত ? ‘শিব তে পায়ে পড়ে আছে’, কুলদা গলার আওয়াজে ময়াম মাখিয়ে বললে । ‘কটা খাতা দেখেছ তুমি ? ‘তা দেড়শ হবে ।” দেখি, নম্বরগুলো মিলিয়ে দেখি, তুমি যোগ দিতে বড় ভুল কর কুলদা।’ ললিত চলে গেলে নিশীথ বললে, ‘বাড়ি ভাড়া পেয়েই তো তোমার কলকাতার খরচ পুষিয়ে যায়, কেন মিছিমিছি চাকরি কর ? ‘তা হতে পারত যদি সাড়ে চার শ টাকার দণ ওটা মারতে পারতুম। ব্যাঙ্কে তো জমেছে হাজগর পঞ্চাশেক, টেনেমেনে হয়ে যেত । গরিবীন চালে থাকতে হত । কী দরকার সে রকম থাকবার । কলেজের কাজ জলভাত হয়ে গেছে, ওটা না করলেই খারাপ লাগে । ওটা তো গোলামি নয় । ইয়াকি আডডা মেরে সাড়ে পাচশ টাকা পাওয়া ।” এতই সহজ ? নিশীথ অবাক হয়ে ভাবছিল । কোন জিনিসে দাড় করিয়েছে ওরা প্রফেসরিকে ? পড়াশুনো করতে হয় না ? কোন অদিকালে একটা ২৭৭