পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘুরে দেখেছে তো সে । বিশেষ কোনো আগশা-আণশ্বাস পাওয়া যায় নি কোথাও ; দু-একজন গাছে চড়িয়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত মই টেনে নিয়েছে ; নিদারুণভাবে আশশা ভঙ্গ করেছে । ঠিকই বলেছে কুলদাপ্রসাদ, সেকেণ্ড ক্লাস ডিগ্রি নিয়ে কোনো মুরুব্বির কেউ না হয়ে কলকাতার কলেজে ভাল চাকরি পাওয়া অসম্ভব ; পেতে পারে একশ টাকায়, কমার্স ডিপার্টমেন্টে, রাতের বেলা । কুলদা কলকাতার সব কলেজের সব খবরও জানে । এ দিক দিয়ে কলকাতায় সত্যিই কিছু হবে না নিশীথের । কলেজে কাজ করতে হলে জলপাইহণটি ফিরে যেতে হয়, কলকাতায় থাকতে হলে অন্য কোনো চাকরির জোগাড় দেখতে হয় । কুলদা খবরের কাগজের কথা বলছে । কিন্তু কলকাতার খবরের কাগজের চাকরিতে মন উঠছে না নিশীথের। পলিটিকসে তার কৌতুহল আছে বটে, কিন্তু রোজকার পলিটিকস নিয়ে এত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মাথা ঘামাতে পারে না সে ; যারা ঘামায় তাদের কথাবার্তা শুনে বমি অণসে তার । তা ছাড়া কাগজের সম্পাদনার ভার কে দিচ্ছে নিশীথকে ? কে দেবে তাকে সত্যি স্বাধীনভাবে সম্পাদকীয় লিখতে ? সহযোগী, না কি সহকারী, সম্পাদকের কাজ পেতে পারে সে নীচের দিকে—মুরুব্বির জোর থাকলে । সেই জন্যে দিন-রাত তাকে গলা জলে দাডিয়ে থাকতে হবে—পলিটিকসের পতরি পুকুরে—উদয়াস্ত কঁথাকাচার গন্ধ শুকতে-শুকতে। বিদেশী ইউরোপ-আমেরিকার পলিটিকসও নয়, একেবারেই ঘরোয়ণ ব্যাপার নিয়ে কলকাতার কলতলার নিরেট আসর জমিয়ে বসতে হবে তাকে । রোজ যেতে হবে কাগজের অফিসে, রোজ লিখতে হবে ; বাংলাদেশের রামমোহন-লালমোহন কী করছে, পদিপিসি কী ঘুম্বল দিচ্ছে—যাদের কথা দিনান্তেও একবার প্রবেশ লাভ করতে পারে না নিশীথের জনে-নির্জনে বাস্তবে, আখ্যানিক জীবনে, তারাই হবে নিশীথের নিত্যনৈমিত্তিক লেখার বিষয় । তাদের তারিফ করতে হবে , যেটা কাগজের পলিসি । নিজেরা খাওয়াখায়ি করে মরে রামমোহনরা কাগজের পলিসি বদলে দেয় । কিন্তু জন-প্রয়োজন রামমোহনদের উৎখাত করতে পারে না, এ দেশে অন্তত না, আগজ পর্যন্ত না । খবরের কাগজও জনসাধারণের বিশেষ কেউ নয় আগমণদের দেশে । এ হেন জিনিসের.সেবা করতে হবে কয়েকটা টণকণর জন্যে । লালমোহনরামমোহন যদি সহচর হয় শূন্য-শূন্যান্তের অভিযানে তা হলে তাদের ঘোড়ার Sbペ