পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিঠে মখমলের বালামটির কাজ করতে হবে নিশীথকে—লালমোহনদের স্কুল পশ্চাদেশকে প্রভূত আরাম দেওয়ার জন্যে সারগর্ভ সম্পাদকীয় লিখে। গম্ভীর হয়ে ভাবছিল নিশীথ ! কটা টাকা দেবে এ জন্যে নিশীথকে ওরা ? দেড়শ দুশ সোয়া দুশ । দেড় হাজার-দু হাজার টাকা পেলেও এ কাজে মন বসবে ন} নিশীথের । এ তার নিজের কাজ নয়, এ সব কাজের জন্য জন্মণতে হয় মায়ের পেটে থাকতে-থাকতেই ; পেটের থেকে পড়ে শিখলে চলবে না । নিশীথ পায়ে হেঁটে এগিয়ে যাচ্ছিল । কিন্তু কোথাও একটা কাজ জুটিয়ে নেওয়া দরকার । খুব তাড়াতাড়ি কিছু করে নিতে না পারলে পকেটের কুড়িবাইশ টাকা দিয়ে কত দিন চলবে তার কলকাতায়—কত দিন চালাবে সে মানব জীবনটাকে, সপরিবারে ? একবার শেষ চেষ্টার মত অমুক কলেজের সত্যিকারের বাবা জয়নাথের সঙ্গে দেখ করলে কেমন হয় ? জয়নপথের সঙ্গে এর আগেও কয়েক বার দেখা করেছিল নিশীথ গত পণচ-সাত বছরে । কলেজের কাজের ব্যাপার নিয়ে । জয়নাথ অণশ দিয়েছে সব সময়েই, কিন্তু আসল কাজের সময় হয় নি । সই করে দিয়েছে, মুখে বলেছে, কিছু করে উঠতে পারি নি দাদা । বাবার হোটেলে বাবাই যদি কিছু করে উঠতে না পারে তা হলে দুগ্ধপোষ্য শিশুরা দাড়াবে কোথায়, এ রকম মুখের ভাব নিয়ে সে কলেজের প্রফেসররা জয়নাথকে ঘিরে থাকে সব সময় । তাদের সেই বাবা নিজে নিশীথকে বারবার ‘এই হচ্ছে", ‘এই হল আর-কি’ বলে, অবশেষে জয়নাথবাবুর নিতান্তই সঙ্কটাবস্থার সময় তাকে গেরু খোজা করে বার করতে পারলে আপক্ষেপ করে বলত, আমার হাতে তো কিছু নেই, মতিমোহনবাবুর ছেলেকে নিতে হল কিংবা জস্টিস ভড় নিজে র্তার মিনার্ভা কণর ই কিয়ে এসে বললেন, আমি ধরণী ভড়কে না নিয়ে করি কী ; ইদানীং বলেছিলেন, শহিদ বটব্যালের জামাই ফঁাসির রসিকলালের শালা এসে ধরে পড়েছিল, কী করি, শহিদদের ওপর তো একটা কর্তব্য অগছে আমাদের ( পনের আগস্টের পর থেকে ), তোমাদের না দিয়ে ভল্টকেই দিলুম। সেকেণ্ড ক্লাস, তা যাক, হোক ফঁাসির রশির উবগার, একসঙ্গে তো পড়েছিলুম আমি আর রমি। কিন্তু ভল্টকে ষাট-সত্তর টাকা মাইনেয় পাওয়া গেছে, নিশীথকে তো একশ সত্তর দিতে হত, কিংবা দেড়শ অন্তত ; ফঁাসির রশি তো আসল কথা নয়। আসল কথা হত যদি সেটা, জয়নাথকে কুলদার Sbや