পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘ধরে না ধরে না সুলেখা, কিছু বলবে না, টিপে ধরে না ।” ‘উ-হু-হু-উ-উ—আমাকে হুল ফুটিয়েছে হরীতদা।’ "কেন ধরতে গেলে ?" "আ-আ, বডড জ্বালা করছে । আঙুলে কামড়েছে, গালে আঙুল ঝাড়তেঝাড়তে সুলেখা বললে, ‘না, বেশি কামড়ায় নি, আমি একটা পাতার রস ঘষে অগসি—’ ‘ম্পিরিট আছে ?” 'কেরোসিন আছে । আমি একটু পাতা ছেচে ঘষব, আচ্ছ ঐ ক্যানাফুলের ঝাড়ের পাশে এমন সুন্দর ঘাস—ঘষলে আরাম পাওয়া যাবে না ? পাওয়া তো উচিত । ও-রকম স্নিগ্ধ ঠাণ্ডা জিনিস কেন মানুষের জ্বালা জুড়িয়ে দেবে না ? ‘কেরে সিন আগছে বললে ?’ আমার ব্যথা কমে গেছে । আচ্ছা দেখো তো, আঙুলটায় হুল ফুটিয়েছে না কি ?’ সুলেখার ডান হাতের অনামিকাটা ধরতে গেল না হরীত । মধ্যম অনামিকা কনিষ্ঠ তিনটেকেই হারাতের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছিল সে, যে-আঙুলে বিষ ঝেড়েছে সেটাকেই নির্দেশের মত ঝগড়ছে । হারীত এগিয়ে এল না, মাথাটাও একটুও ঝুকে পড়ল না তার, যেখানে দাড়িয়েছিল তেমনি দাড়িয়ে থেকে সুলেখার আঙুলের ওপর চোখটাকে বুলিয়ে বিধিয়ে রেখে বললে, ‘না, হুল ফোটায় নি । ‘তোমার কি চিলের মত চোখ হরীত ? ‘বেশি ফোটায় নি—’ আঙুলটা ফুলেছে - ‘বেশি ফোলে নি ।” ‘কম ফুলেছে ? ‘তোমার কি ব্যথা আগছে ?” সুলেখা হাত সরিয়ে নিয়ে প্লিব প্লিব ক্লিবল ক্লিবল খিখি ক্লি খি করে হাসতে লাগল । ‘তোমার ব্যথা কমে গেছে, হরীত যেন নিজেকে, কলকাতার ও ৰাইরের ৩o৫ २O