পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘লাগবে ।’ ‘কাজ না সেরে তুমি তো যাবে না ? ין והי ‘কেমন আছেন তোমার মা ? “আণগের চেয়ে ভাল ।” “শুনেছিলাম নরেন মিত্তিরের রক্ত নেওয়া হচ্ছে ।" ‘সেটা আমি বন্ধ করে দিয়েছি ।" ‘কেন ?" ‘লোকটার সম্বন্ধে অনেক খারাপ কথা শুনেছি । আমি দেখেছিও নিজের চোখে । আমি আর-এক জন লোক ঠিক করেছি।” "রক্তের জন্যে ?” *ই্যা । এ দেশে একটা ব্লাড ব্যাঙ্ক করলে হত । কত লোকের দরকার তো রক্তের। পথে-ঘাটে চাষাভুষোদের ভিড়ে কত লোক ইস-ইস চেহারা নিয়ে ধুকধুক করছে। মরা ব্যাঙের সাদা পেটের মত হয়ে গেছে মুখ-চোখ ; কত দেখলুম এ দেশের দুটো জাতের মধ্যেই, একটার মধ্যে তো খুবই বেশি। কে করে ব্লাড ব্যাঙ্ক । কোথায় টাকা ? কোথায় কী ? হারীত জানালার ভেতর দিয়ে তাকিয়ে বললে, ‘দুটো জগত নাকি সুলেখা ? বলছে তো ' ‘বেশি রক্ত লাগবে না অার মার।’ ‘কী করেছিল নরেন মিত্তির ? দিচ্ছে না তো রক্ত—” সুলেখার চোখে চোখ রেখে হরীত বললে, ‘চেনো নাকি নরেন মিত্তিরকে ? নরেন মিত্তিরকে চিনতে হচ্ছে সুলেখার । ইদানীং নরেন, বরেন মিত্তির—দুজাতের অনেকেই, একটু বেশি ঘোরাফেরা করছে সুলেখাদের বাড়ির আশেপাশে । কোনো পুরুষমানুষ নেই তো সুলেখাদের বাড়িতে। তবে অনেক দিনের পুরোন বাবুরাম আছে—সুলেখাদের বাবার আমলের লোক—লোকটি বাড়ি করে নি, বয়স ষাটের কাছাকাছি ; যেন কেউ নেই এখন তার ; এখানেই সে থাকবে, এখানেই মরবে । বাস্তবিকই যাদের কোনো দরকার থাকতে পারে না বাড়ির ভেতরে—বাবুরামকে না ডিঙিয়ে তারা ঢুকতে পারে না ; নরেনরাও পারছিল না ; এ ছাড়া কলেজ কমিটির ব্রঙ্গমাধববাবু খোজখবর toob.