পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘জীবনের ইতিহাসের আরো স্পষ্ট ব্যাখ্যা হবে মনে হয় । আরো স্পষ্টতরু জ্ঞানীর হাতে। কিন্তু তাই বলে সাধারণ মানুষের জীবনের আরো উন্নতি হকে কি না আমি বলতে পারি না, হরীত চকিত হয়ে বললে, ‘শ্ৰীযুক্ত সেনের মত কথা বলছি অগমি ।’ "সেন কে ?’ 'আমার কথাটা প্রত্যাহার করছি । বলেছি সাধারণ মানুষের উন্নতি হবে কি নী বলতে পারি না ।” ‘বলেছ তো ? উন্নতি হবে । ইতিহাসের ব্যাসকুট নিরসন হোক, বা না হোক, সং কর্মীদেরু হাতেই উন্নতি হবে ।’ ‘সেন কে ? তোমার বাবা নিশীথবাবু ? ‘til I' ‘কোথায় তিনি ? ‘কলকাতায় ।” ‘কলকাতার কলেজে চাকরি করছেন ? অামাদের কলেজ ছেড়ে চলে গেলেন" কেন ?? ‘কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বনে নি শুনেছিলাম ।’ ‘কেন বনে নি ? ‘টাকাকড়ির ব্যাপার নিয়ে । বাবা আরো পঞ্চাশ টাকা বেশি চেয়েছিলেন ।” সুলেখা বললে, ‘হরিলালবাবুর দিলেই তো পারতেন। কলেজের তো অনেক টাকা আছে । হরিলালবাবুর জামাই কামাখ্যাবাবুকে তো পঞ্চাশ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল । কলেজ কমিটির হিমাংশু চক্রবর্তীর শালাকেও চল্লিশ-পঞ্চাশ । প্রিন্সিপ্যাল কালীশঙ্করবাবু যদি পীচ শ পান তা হলে নিশীথবাবুও তো পেতে পারেন । না-দেওয়া হয় যদি, তিন শ সাড়ে তিন শ দেওয়া হোক। দেড় শ পাচ্ছিলেন, দু শ চাচ্ছিলেন তাও দেওয়া হল না । ওয়াজেদ আগলি সাহেবের এটা করে দেওয়া উচিত ছিল ।” হরীত বললে, ‘কে কী করবে কার জন্যে ? কলেজ তো একটা দৃষ্টান্তস্থল শুধু ৮ যে আচার-ব্যবস্থায় কালীবাবু পাচ শ টাকা পান, আর সবাইকে এক শ দেড় শ টাকায় গড়াতে হয় সেটার গিটি কোথায় ? কলকাতায়ও ঠিক এ রকম, সব 86