পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাছে বসে সময় নেই জেনেই সময়টাকে ভাল লাগে । শেষ পর্যন্ত সময় নেই তো সুলেখা, সময় নেই কোথাও—এই বাড়িতে এ রকম দুপুরের নিঃশব্দতায় এসে বুঝতে পারি যে বহতা সময়ের বয়ে যাবার চেয়ে তার সম্পূর্ণ উচ্ছেদের পরিসর কত বেশি, আস্বাদ কত বেশি উজ্জ্বল । তবুও যতটা দিন বেঁচে আছে মানুষ, প্রতি মুহূর্তে সময় আছে, আছে, ছুটে চলেছে এ রকম একটা উদ্বেগে অতিষ্ঠ হয়ে ভয়াবহভাবে ধ্বংস করে ফেলছে সময়কে, নিজেকেও । সুলেখা একটু হেসে বললে, "এ কি তোমার নিজের কথা হরীত ? ‘তবে কণর কথা বলছি আমি ? ‘নিশীথবাবু তো এই রকম বলতেন ।" হার্যত নিজের চুলের ভেতর দু-একবার আঙল চালিয়ে নিয়ে বললে, বলতেন বুঝি ? বলবেনই তো, আমার বাবা তো । সন্তান যা ভাবে, পিতাতেও তা বর্তায় না ?’ ‘কথা তো । কিন্তু দেখছিলুম তো তার চেয়ে তুমি একেবারেই আর-এক রকম। এখন আবার দেখছি তুমি অনেকটা তারই মতন ' ‘আমরা দু জনেই এক রকম । দু জনেরই মনে দুটো ধারণ আছে, বাবা একটার ওপর বেঁণেক দিয়েছেন আমি অন্যটার ওপর । কোন দিকের বেঁnকটা ভাল লাগে তোমার ?’ ‘আগমণর মনের মিল মাস্টারমশাইয়ের সঙ্গে—তার কাছ থেকে সব শিখেছি, যা শিখেছি ভালবেসেছি । ‘কেন ? ত| তো ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।’ ‘কলকাতায় তুমি যে রেভলুশন র্যাদছ, সেটা সফল হবে ? ‘সফল হবে ।” নিশীথবাবু কুড়ি-পঁচিশ বছর আমাদের যা পড়ালেন, অণজীবন যা করলেন, সেটা ব্যর্থ ? ‘ব্যর্থ ।" "এত সহজেই মীমাংসা হয়ে ষায় সব কিছুর ?’ ‘ইrা, সহজেই, হরীত বললে, 'জুলেখাও কি নিশীথবাবুকে’—কথাটা শেষ করল না হরীত । ‘আমি উঠি সুলেখা । ৩২২