পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাবে না এমনি এক অবিনশ্বর সূর্যের । সূর্য নয়, সূর্যদেবীরই যেন প্রেমিক হারীত। তার নিজের মনও তো, ভাবছিল সুলেখা, এমন উজ্জ্বলন্ত দিনের সঙ্গে—দিনের নক্ষত্র আগুন জল সূর্য নীলিমার সঙ্গে মিশে যেতে চাষ ষেন মানুষের মন । ‘কটা বেজেছে সুলেখা ? ‘একটা হয় তো ।” “আণনদণজে বলছ ? ঘড়ি নেই তোমাদের বাড়িতে ?’ ‘কেন, সূর্যের দিকে তাকিয়ে বেলা বলে দিতে পার না তুমি ? ‘ইসেদের মত ? পার তুমি ? দেশ গায়ের লোকেরা পারে । আমিও কলকাতার লোক নই ৷” ‘শালিধানের চিড়ের মত ধূসর ডানা-পালকের একটা গেরস্তের হাসের মত অকণশের দিকে চোখ তাকিয়ে হরীত বললে, ‘দেড়টা তো বেজেছেই, বেশিও হতে পারে ।” ‘তাকালে তো ওপরের দিকে, সূর্যটাকে দেখলে কোথায় ? এ জানাল ওজানাল কোনোদিক দিয়েই তো সূর্য দেখা যাচ্ছে না। কী করে বেলা ঠিক করলে তুমি হাসের মত ঘাড় কাত করে আকাশের দিকে চোখ মেরে ? ‘সূর্য দেখা যাচ্ছে না বলেই তো বুঝতে পারলুম দেড়টা বেজেছে । দুটো আড়াইটে হলে, পশ্চিম দিকের কৃষ্ণচূড়ার ওপরে দেখা যেত সূর্যটাকে। মেঘে ঢাকা পড়ে নি তো সূর্য ? মেঘ তো সব পুবদিকে এখন । এ দিকে যা ছিল সব সরে গিয়েছে।’ জানালার ভেতর দিকে তাকিয়ে সুলেখা বললে, ‘পশ্চিম-দক্ষিণেও তো মেঘ マ河tび豆ー" আছে, অনেক দূরে । ও-দিকে যাবে না তো সূর্য ।” সুলেখা আবার আকাশের দিকে তাকাতে-তাকাতে বললে, "বাঃ, এই তো কত মেঘ পশ্চিমের দিকে, কত সাদা মেঘ—প্যাটরাভরণ মেঘ সমস্ত আকাশে ছড়িয়ে চোখ ধাধিয়ে জ্বলছে পশ্চিমের দিকে । পুবের দিকের মেঘগুলো তো সাদা ঠাণ্ড । ‘অণর মাথার ওপরের মেঘগুলো ?, ‘সাদা, চুপচাপ । ףאס