পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘টাকা দিতে হবে না ?’ ‘সে পরে বোঝা যাবে ।’ ‘কে দেবে টাকা ?’ যতটা ভাল হরীত নয়, সুলেখাও নয়, সে সবের চেয়েও যথার্থ ই একটা ভাল নিরপরাধ হাসি হেসে হরীত বললে, “পরে বোঝা যাবে।' ‘তা ছাড়া আর-একটা জিনিস ভুলেই যাচ্ছিলাম, হরীত সুলেখার দিকে তাকিয়ে বললে, ‘এখানে তো শাড়ি কাপড় একদম পাওয়া যাচ্ছে না, ইউনিয়ন থেকে জিনিস এনে ব্ল্যাক মার্কেটিং হচ্ছে । কিন্তু কালবাজারে কাপড় কিনবার শক্তি আমার নেই, রুচি ও নেই, এখানকার কালবণজণর শায়েস্তা করতে গেলে যে অনেক বড় জাল-বেড়াজগলে গিয়ে হতে পড়বে । এক দিনের কাজ নয়, এক জন মানুযেরও নয়, ক জন মানুষের কত দিনের কাজ সেটা অঙ্ক কষে বার করে তুমি ; এক জীবন বসে কষতে হবে । শুনলাম, অনেক ছোটঘরের মেয়েরা কাপড়ের অভাবে হেঁসেলে ঢুকে থাকে কোথাও যেতে পারছে না, লেণপাট হবার জেণগড় সব’— ‘ছোট ঘরের মেয়েরা ? অণর ভদ্রদের কী ?’ ‘ভদ্রঘরের মেয়েদের কে আর হাতে পাচ্ছে, সুলেখার বেনারসির দিকে তাকিয়ে চোখটা একটু ঝিকিয়ে নিয়ে হরীত বললে । ছোটঘর বলছ কদের, মাস্টারদের বেীদের বিদের ? ‘তা তো আছে । অণরো নীচে—’ ‘তার নীচে তো মুচি, মুদফরাস, কামার, চামার, জোলা, তাতি, ধোপা, নাপিত, জেলে, চাষাভূযো । এদের অনেকে মাস্টারদের চেয়ে বেশি কামায় । মাস্টারদের মত অত ভব্যতা রক্ষা করবার দরকারও হয় না এদের বি-বেীদের । কাদের শাড়ি দেবে তুমি হরীত ? ‘চণষণ-চণমারদের পরিবারদের দেব ।’ ‘আর মাস্টারদের ঝি-বেীদের কী হবে ? "সেটা পরে দেখা যাবে ।” ‘চাল কাদের জন্যে যোগাড় করছ ?’ ‘যাদের কাপড় দেওয়া হবে তাদের জন্যেই ।” খুব ভাল কথা তো । কিন্তু নিশীথবাবুর দেড় শ টাক ফুরিয়ে গেলে তুমি নিজে (oxeyeا