পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'ন্যাবা হয় নি, স্যাবা হয় নি, আমি নয়নবাবুকে দেখিয়েছিলাম তার ডিসপেন্সারিতে গিয়ে । তিনি বললেন, হরীত কথা শেষ না করে সুমনার খাটের থেকে হাতপাখাটা খুঁজে নিয়ে বাতাস খেতে লাগল, কেমন গুমোট হয়েছে মা, বৃষ্টি পড়লে বাচি । ‘কী বলেছে নয়ন ডাক্তণর ?’ ‘বলেছে, ও কিছু না, ও-রকম হয় মাঝে-মাঝে, তার নিজেরও তো হয়েছে কত বার । বলেছে বাঙালির অণবণর ক্ষিধে !’ ‘কেন, বাঙালির ক্ষিধে পেতে নেই ? দেখ না গিয়ে নরেন মিত্তিররা কী রকম খায় । এই মহিমবাবু আর তার ছেলে আর অর্চনা কী রকম গুটির পিণ্ডি গিলছে দেখ না গিয়ে । তোমার বাবণও খেতে পারতেন বেশ ; তোমার এ রকম হল কেন ?? ‘হল তো’, হাতপাখাটা রেখে দিয়ে বললে হfরীত । নিম, জাম, জামরুল নাচানো চোত-বোশেখের বাতাসে ঘরদেণর ভরে গিয়েছে হরীতদের । হরীত উঠে গিয়ে ঠাণ্ডা ভাত, ডাল আর খানিকটা উচ্ছে-আলুর তরকারি খেয়ে এল । ‘দুধ খেয়েছিলে হরীত ? ‘না, রণতে খাব ।” ‘কী দিয়ে ?” ‘এমনি গরম করে খেয়ে নেব । রাতে ক্ষিধে পায় না একদম ।’ ‘অর্চনা একটা পেপে দিয়ে গেছে, সেটা কেটে খাস দুধের সঙ্গে ।’ “আণচছা ।” ‘তোমার বাবার তো কোনো চিঠি পেলুম না ।” ‘লেখেন নি বুঝি তোমাকে ? ‘অণমাকে না, অর্চনাকে না ।” ‘তা হলে আর-কণকে লিখবেন ?” সুলেখাকে হয় তো লিখলেও লিখতে পারতেন নিশীথ সেন । হারৗত কাঠের চেয়ারে বসে জামরুল বনের দিকে তাকিয়ে ভাবছিল, যদি তিনি জানতে পারতেন যে তার এ রকম এক জন মহাজন জলপাইহাটিতে লালপুরের রাস্তার পথে সেই আশ্চর্য দেড় তলা ঠাণ্ডা চালতে ফুলের রঙের বাড়িটার ভেতর রয়ে গেছে । কী নির্জনতা সেখানে, কী সশস্তুনা । পৃথিবীর রক্তে, ইতিহাসের রক্তে, මලඳ २२