পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জিরোলে তিনি কি গাড়ি থেকে নামেন ? হরীত বললে, “কলকাতায় জিতেল দোশগুপ্তের বাড়িতেই আগছেন ।” “লিখছেন না কেন ?" “লিখবেন । কলেজে কাজ জোগাড় হলেই লিখবেন ।” ‘কোন কলেজে ? ‘যে-কোনো কলেজে, কলকাতার যে-কোনো কলেজে ।” ‘হবে কাজ ? ‘উঠে-পড়ে লেগেছেন বলে মনে হয় । হওয়া আশ্চর্য নয় ! না হওয়াও অস্বাভাবিক নয়, হরীত বিকেলের বড় অণকাশের মেঘগুলোর দিকে তাকিয়ে থেকে বললে । ‘কী যে হেঁয়ালিতে তুমি কথা বলছ হার্যত । অণচছা তা হলে ভেঙে বলছি, হরীত বললে, ‘কলকাতার কোনো কলেজে বাবাকে ভাল কাজ জুটিয়ে দেবার মত কোনো মুরুব্বি নেই, খবরের কাগজে পারবেন না, সরকারি চাকরির বয়স কই, পাবলিক সার্ভিস কমিশন ডাকবে না বাবাকে, দাশগুপ্ত সাহেব পিঠ চাপড়ে বিদায় দেবেন—না, হবে না কিছু ’ ‘বডড কুবাতাস ছড়াচ্ছ হারীত।’ ‘জলপাইহাটতে ফিরে আসতে হবে বাবণকে ।” ‘হরিলালবাবুদের কলেজে ? "হরিলাল, কালীশঙ্কর, হিমাংশু চক্রবর্তী, এই নিয়েই তো দেশ । কলকাতায় গিয়ে এদের এড়াবেন ? সেখানে তো অণরো চেকনীই বেড়ে গেছে এদের । এদের বিশেষ কোনো দোষ নেই। অনেক সময়ই সজ্ঞানে পাপ করে না এরা । অনেক দিনের বাসি রক্ত জমেছে এদের—চণর দিকে এত দিন ধরে এত অসদ্ব্যবস্থা বলে । দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে তাই । নাকে কাপড় দিয়ে সরে গেলে লাভ নেই ; বদ রক্তগুলো বের করে দিতে হয় ।” বের করে দিতে হয় ? রক্ত ? সুমনা বিরক্ত হয়ে বলল, “ও-সব কথা আগমণকে বলেগ না । কলকাতায় থেকে কেমন গুণ্ডার মত হয়ে গেছ যেন তুমি । হারীত অবাক হয়ে ভাবছিল এই লোককে নিয়ে ঘর করতে হয় নিশীথ সেনের মত মানুষকে । একটা অদ্ভূত অনিন্দ কুয়াশার ঘুমের ভেতর দিয়ে যেন বিশ

  • ○>